দেবু সিংহ ,মালদা : গত তিনদিন ধরে শুরু হয়েছে কালিন্দ্রীর ভয়াবহ ভাঙন। ইতিমধ্যেই ভাঙনে তলিয়ে গেল সরকারি রাস্তা ।জনবসতি থেকে মাত্র ১৫ মিটার দূরে চলছে ভাঙ্গন। কিন্তু হেলদোল নেই সেচ দপ্তরের । শেষমেষ ভাঙন রোধের কাজের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল গ্রামবাসীরা। শুরু হল চাঁদা তুলে ভাঙ্গন রোধ এর কাজ। বরাবরই শান্ত নদী নামে পরিচিত কালিন্দ্রী । কিন্তু গত দু’বছর ধরে কালিন্দ্রী ভয়াল রূপে অবতারিত হয়েছে। কালিন্দ্রীর ভয়াল ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গত দুই বছর ধরে মানিকচকের সাহেবনগর কাঞ্চনটোলা এলাকায় চলছে কালিন্দ্রীর নদীর ভাঙ্গন। নদীর ভাঙ্গনে রাস্তা উধাও। গত দুই দিনে কাঞ্চনটোলা এলাকায় দৈর্ঘ্যে ১০০ মিটার ও প্রস্থে ৩০ থেকে ৪০ মিটারের বেশি এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
গতবছর হঠাৎই এই এলাকায় ভাঙ্গন শুরু করে কালিন্দ্রী ।ভাঙন রোধের কাজও করে সেচ দপ্তর। গত তিন মাস আগেই ভাঙন রোধের কাজ শেষ হয় ।কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গত দুদিনের ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন সেচ দপ্তরের ভাঙ্গন রোধের কাজ । আর তাতেই প্রচন্ড ক্ষুব্দ এলাকাবাসী। তাই তাদের দাবি সেচ দপ্তর নয়, ভাঙ্গনরোধে কাজের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন এলাকাবাসী। গ্রামের চাঁদা তুলে শুরু হলো ভাঙ্গন রোধ এর কাজ। দেখা গেল নদীর পাড়ে বাঁশ ফেলে জলের স্রোতকে আটকানোর চেষ্টা করছে গ্রামবাসী। ভাঙ্গন এলাকা থেকে মাত্র পনেরো থেকে কুড়ি মিটার দূরেই বসতি শুরু হয়েছে। একেবারে ভাঙ্গন এলাকার কুড়ি থেকে ত্রিশ মিটারের মধ্যেই ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবারের বাস। নিজেদের ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন সকলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভাঙ্গন চললেও কোন হেলদোল নেই সেচ দপ্তরের।