ভাতৃদ্বিতীয়া পালন হল নিষিদ্ধ পল্লীতে আয়োজক স্মাইল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ন

Social

নিউ সোশ্যাল বার্তা,৩০শে অক্টোবর ২০১৯:-নিষিদ্ধ পল্লী নামটা শুনেই সুশীল সমাজের অনেকেই নাক কুঁচকায় বটে । আমাদের মুখোশধারী ভদ্রসমাজের অনেকেই ভাবেন কি আছে সেখানে? তথাকথিত ভদ্রসমাজের অনেকেই ভাবেন কিছুই তো নেই সেখানে ! না আছে শিক্ষা, না আছে সম্মান ! যা আছে তা হল রাশি রাশি নারীর শরীর।

প্রতি রাতে তারা বিক্রি হয়, তাদের শরীর কেনা হয় কখনো চড়াদামে, কখনো আবার স্বল্পমূল্যে। সারারাত শরীর ভোগ চলে টাকার বিনিময়ে। তারপর রাত ফুরিয়ে দিন এলেই যারা গত রাতে তাদের  শরীর ভোগ করেছে তাদের তারাই “বেশ্যা” বলে গাল দিয়ে একরাশ ঘৃনায় থুতু ফেলে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এই নারীরা । তাই হয়ত অনেক বেশি মানবিক। অনেক বেশি মনুষ্যধর্মে বিশ্বাসী। কারণ শরীর কেনার সময় যে কেউ নারীটির ধর্ম জানতে চায় না। নিষিদ্ধ পল্লীতে ভেঙে যায় সকল ধর্মের বেড়াজাল।

কিন্তু আরো একটা সত্যিও যে সেখানে চূড়ান্ত ,সমাজ নিষিদ্ধ নাম দিয়েছে বলে কোনো সামাজিক উৎসবে অংশগ্রহন করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে এই নারীদের । তাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই এমন আছে যাদের- ভালোবাসার মানুষটি আজ হয়তো তাকে ছেড়ে চলে গেছে ফাঁকি দিয়ে বা নেশাগ্রস্ত স্বামীকে নেশার সামগ্রী, কিম্বা সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে এই পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন ।

সমাজের সেই শ্রেনীর নারীদের নিয়ে এক গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হল। আয়োজক ধুবুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্মাইল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ।ভাতৃদ্বিতীয়া আর এই দিনেই নদীয়া জেলার নবদ্বীপের পতিতালয়ে হাজির হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টি । এখানকার দিদিদের হাত থেকেই ফোঁটা নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা । সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রী লক্ষণ ব্রম্য বলেন “অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন আমরা সস্তা প্রচার চাইছি,ভাবুন না, ক্ষতি কী ? আমাদের উদ্দেশ্য সকলের মুখে হাসি ফোটানো। বছরের ৩৬৫ দিন যারা মেকি হাসি হেসে সমাজের বিষ পান করেন, একদিন না হয় তাঁদের মুখে আমরা সত্যি কারের হাসি ফোটালাম”। সংস্থার এই উদ্যোগে খুশি নাগরিক সমাজের অনেকেই ।