মলয় দে নদীয়া :- আগের থেকে রক্ত দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। সেরকম রক্তের চাহিদাও বেড়েছে আগের তুলনায় বেড়েছে বহুগুণ। থ্যালাসেমিয়ার সচেতনতা বাড়লেও সরকারি বিধি ব্যবস্থা এখনো অনেকটাই ঢিলাঢালা। এ ধরনের বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত ২০ শে জুলাই, মালদহর কালিয়াচক থেকে এক ছাত্র আলমগীর খান পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে পড়লেন নবান্নের উদ্দেশ্যে। এর আগেও অবশ্য রক্তের কালোবাজারি রুখতে এবং এবং রক্ত ও থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কিত নানান দাবি নিয়ে গত ২৪শে মার্চ তিনি কালিয়াচক থেকে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেন। ১৪৮০ কিলোমিটার পথ পায়ে স্বাস্থ্য ভবনের ডেপুটেশন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
এবারে অবশ্য তিনি একা নন পলাশী থেকে কৃষ্ণ বর্মন ও ফারুক শেখ পায়ে হেঁটেই যোগ দিয়েছে তার সাথে এরাও প্রত্যেকে উচ্চশিক্ষার ছাত্র। আলমগীরদের দাবি, বহু বছর আগের বাজারদর অনুযায়ী রক্তদানে মাথাপিছু ২৫ টাকা সরকারি বরাদ্দ থাকলেও আজ তা হাস্যকর। মাথাপিছু ন্যূনতম ১০০ টাকা ব্যয় বরাদ্দ থাকলে, তবেই রক্তদাতার পুষ্টি জনিত সহযোগিতা করা সম্ভব। অথবা সরকারি আয়োজনে এবং ব্যবস্থাপনায় রক্তদান শিবির হলে, অনেকটাই ফলপ্রসু হবে।
থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রেও সরকারি উদাসীনতা চোখে পড়ে, প্রতিটা বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে রেজিস্ট্রেশনের সাথেই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করে নেওয়া সুবিধাজনক, তারপরেও যদি কিছু বাকি থাকে বিবাহের রেজিস্ট্রেশনের সময় থ্যালাসেমিয়া নির্ণায়ক শংসাপত্র আবশ্যিক হওয়া প্রয়োজন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে রক্ত এবং থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত নানা সেমিনার এবং সচেতনতা অনুষ্ঠানে ব্রাত্য থেকে যায় দীর্ঘদিন ধরে এই সংক্রান্ত নানান কাজকর্ম করা উৎসাহী যুবকরা। তাই এ ধরনের সরকারি আয়োজনে তারা আমন্ত্রণ পেলে, একদিকে যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম শহরে পৌঁছে যায় উদ্দেশ্য তেমনি, উৎসাহী যুবকদের আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সচেতন করা যায়।
আগামী ৩১ তারিখ তারা পৌঁছাচ্ছেন কলকাতায়। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রক্ত এবং থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কাজ করা সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির হচ্ছেন আগামী পয়লা আগস্ট স্বাস্থ্য ভবনের ডেপুটেশন দেওয়াবার উদ্দেশ্যে। গতকাল নদীয়ার কৃষ্ণনগর রানাঘাট পেরিয়ে এই তিন প্রতিনিধির দল রাত্রি বাস করেন কল্যাণীতে। গতকাল আবারো উত্তর ২৪ পরগনা পেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।