মলয় দে নদীয়া:- এর আগেও লকডাউন এ বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের চাল আলু দেওয়া হয়েছিল দুবার। চলতি মাসের ৯-১১ই জুলাই এই তিন দিন জেলা জুড়ে ২৬৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬১৮ টি উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তৃতীয়বারের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আলু পৌঁছালো। যদিও কেউ এই তিন দিনে পৌঁছাতে না পারেন তারা মাসের মধ্যে যেকোনো দিন বিদ্যালয় থেকে পেতে পারেন। তবে এবার অর্থাৎ তৃতীয় বার মিড ডে মিল এর সাথে বাড়তি পাওনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, আয়রন ট্যাবলেট, মুসুরির ডাল, একটি খাতা এবং অনুশীলন পত্র।
হ্যান্ড স্যানিটাইজের ১০০মিলি: বোতলে বরাদ্দকৃত ৫০মিলি: এর জায়গায় বেশ খানিকটা করে কম এমনটাই দাবি করলেন অভিভাবকবৃন্দ। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানতে চাওয়া হলে তারা আক্ষেপের সুরে বলেন পৌরসভা বা বিডিওথেকে প্রাপ্ত ৫০মিলি: এর বোতলে খানিকটা করে কম থাকায় সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় বিষয়টি।
অসন্তুষ্ট অভিভাবকবৃন্দগনের কাছ থেকে জানা যায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পরিমাণ গুণগতমান বুঝে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীরই নির্দেশেই, সরকার সাধারণ মানুষের জন্য চেষ্টা করছে অথচ মাঝপথে কে বা কারা ঘৃণ্য অপরাধ করছে তা ধরা আমাদেরই দায়িত্ব।
অভিযোগ স্যানিটাইজার বোতলটিও সিল প্যাক করা নেই সাধারণ একটি বোতলে অসম পরিমাণে স্যানিটাইজার পেয়ে ক্ষুদে পড়ুয়ারা খুশি হলেও সচেতন অভিভাবক কিন্তু নারাজ। রানাঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের জ্ঞাতার্থে একটি লিখিত পত্রজমা দেয়া হয়। জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিভিন্নভাবে। বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জেলাস্তরে যিনি এই কন্টাক্টটি পেয়েছিলেন মূলত তার ভুলেই তৈরি হয়েছে এ ধরনের সমস্যা।