মলয় দে নদীয়া:- প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সর্বোপরি সাধারণ মানুষ সচেতন নাইলন সুতোর ভয়াবহতায়। তাহলে সাধারণ মানুষের হাতে নাইলন সুতো আসছে! কিভাবে কারাই বা ব্যবহার করছে? প্রশ্ন হাজার, উত্তর একটাই নিজেদের সচেতন হতে হবে। গত মাসের ১৬ তারিখ শান্তিপুরের দুই তরুন সজোরে আছড়ে পড়লো মতিগঞ্জ মোড়ে। প্রায় সন্ধ্যে হয়ে এসেছিল, রাস্তার উপর দিয়ে যা
পড়ে থাকা নাইলনের সুতা খেয়াল করেনি, এলাকাবাসীর তৎপরতায় শান্তিপুর হাসপাতালে থেকে সেদিন কোন রকমে বেঁচে ফিরেছিলেন ঐ দুজন তরুন। তারপর আবারো কয়েকদিন কাটার পর প্রথম রথের আগেরদিন শৌচাগার অঞ্চলের এক পৌঢ়র নাকের একটা অংশ কেটে ঝুলে গেল, হাসপাতালে গিয়ে সেলাই করে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। গতকাল রাতে শান্তিপুর শহরের বাগানী পাড়ার সঞ্জয় গুহর গলায় পোজ পড়লো একই ভাবে। শুধু তার নিজের জন্য নয় কঠোর হাতে দমন করার জন্য প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আজ শান্তিপুর প্রয়াস নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এ ধরনের ঘটনায় মর্মাহত হয়ে সম্পূর্ণ আন্তরিকভাবে বেরিয়ে পড়েছেন শহর থেকে নাইলন সুতো খুজে সেগুলো কে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষ তো বলতে পারে! কিন্তু অবলা পশুপাখি দিনের পর দিন আক্রান্ত হয়েছে তাই এই উদ্যোগ।