সোশ্যাল বার্তা : পিগি ব্যাংকের জমানো টাকা দিয়ে বাইরে থেকে আসা শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারকে একদিন দুপুরে খাওয়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করে দুই ৮ বছরের শিশু আয়ুষ এবং অঙ্কুশ। দুজনেই জমজ ভাই।মাত্র ৮ বছরের শিশু। দিল্লী পাবলিক স্কুলের (রুবি পার্ক,কলকাতা) তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। পরীক্ষা,খেলাধুলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফলের জন্য মায়ের কাছে থেকে পুরস্কার হিসেবে অন্যান্য জিনিসের সাথে সামান্য কিছু নগদ অর্থ পায়। দুই ভাই সেটা নিয়ে পিগি ব্যাংকে জমাতো। কয়েকদিন আগে শিশু দুটির মা সিউলি সাহা লকডাউনে কাজ হারানো প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করেছিলেন ।
আয়ুষ এবং অঙ্কুশ দুই ভাই সেইদিন মায়ের সঙ্গে এসেছিলো। সেই দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দেখে ওদের মনে দাগ কাটে।এরপর মায়ের কাছ থেকে রোজ বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শোনে। কয়েকদিন আগেই মায়ের কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করে পিগি ব্যাংকের জমানো টাকা দিয়ে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা মানুষগুলোকে খাওয়াতে চায়। শিশু দুটির মা যোগাযোগ করেন কৃষ্ণনগর আনন্দধারা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। আনন্দধারার উদ্যোগে আজ দুপুরে সেই ইচ্ছে পূরণ করতে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা ২০ জন মানুষকে মাছ, ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
শিশুদুটির মা শিউলি সাহা বলেন, “ছেলেদের এই ইচ্ছে শোনার পর আমি খুব খুশী হয়েছি, তাই আর দেরী না করেই যোগাযোগ করি আনন্দধারার সাথে।”
কৃষ্ণনগর আনন্দধারার কর্ণধার রাজু পাত্র জানান,”আট থেকে আশি সমস্ত বয়সের মানুষ আজ এই প্রান্তিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে, এই ভাবে সকলে এগিয়ে এলে খুব শীঘ্রই আমরা এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবো।