নদীয়ার নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংকের উদ্বৃত্ত রক্ত পাঠানো হলো রামপুরহাট ব্লাড ব্যাংকে

Social

মলয় দে, নদীয়া :-নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে উদ্বৃত্ত রক্ত পাঠানো হলো বীরভূম জেলার রামপুরহাট ব্লাড ব্যাংকে।২০১৫ সাল নাগাদ নবদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পুন্ডরীকাক্ষ সাহার হস্তক্ষেপে শহরবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তৈরি হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক। ব্লাড ব্যাংক তৈরি হওয়ার পর নবদ্বীপ পুরঅঞ্চল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বাবলারি পঞ্চায়েত সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার সমুদ্রগড়, পূর্বস্থলী, পারুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন উপকৃত হন। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে আজও পর্যন্ত দিবারাত্র মুমূর্ষ রোগীর পরিবারের পাশে থেকে জীবনদায়ী রক্ত সরবরাহ করে চলেছে নবদ্বীপের এই ব্লাড ব্যাংক। পাশাপাশি রক্তের আকাল মেটাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে ব্লাড ব্যাংক কর্মীদের।

বিভিন্ন সময় সমাজিক গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তাঁরা স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সর্বসাধারণের কাছে। যার ফলে স্বেচ্ছায় রক্তদান করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে শুরু করে বিবাহ, জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকীর মতন সামাজিক ও পারিবারিক উৎসবের ক্ষেত্রেও ইদানিংকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে রক্ত দান করে রক্তের আকাল মেটাতে এগিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষেজনর বলে দাবি ব্লাডব্যাংক কর্মীদের। ফলে নিজেদের প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমানে ব্লাড ব্যাংকে বৃদ্ধি পেয়েছে মজুদ করা রক্তের পরিমাণ। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে শুক্রবার দুপুরে বীরভূম জেলার রামপুরহাট ব্লাড ব্যাংকের অনুরোধে প্রয়োজনের তুলনায় উদ্বৃত্ত ২৫০ ইউনিট রক্ত নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তুলে দিলেন রামপুরহাট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে। যা নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংক কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নদিয়া , নবদ্বীপবাসী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পেলে আগামী দিনেও আরো অনেক ব্লাড ব্যাংকের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে নবদ্বীপ ব্লাডব্যাংক বলেও আশাবাদী নবদ্বীপ ব্লাডব্যাংক কর্মীরা।

Leave a Reply