ঝাঁটা হাতে প্রাক্তন শিক্ষিকা ও জেলা পরিষদের সদস্যা লিপি সরকার

Social

অঞ্জন শুকুল, কৃষ্ণগঞ্জ: প্রায় চার বছর আগে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের পূর্নগঞ্জ সজল ধারা প্রকল্পে সোলার প্ল্যানেট বসেছিল উদ্দেশ্য ছিল ইলেকট্রিক খরচ বাঁচিয়ে গ্রামবাসীদের আর্সেনিকমুক্ত পরিশোধিত জল বন্টন করা। কিন্তু এই জলে একটুতেই আয়রন জমে যায়। যার ফলে ব্যাকওয়াশ না করলে কোনভাবেই জলকে আয়রন মুক্ত করা যায় না। মানুষ পরিশোধিত জলও পায়না। গ্রামবাসীদের অসুবিধা হয়।

এই সময় গ্রামবাসীদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন চন্দননগর কেসি গার্লসের স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা লিপি সরকার। স্বামী ছিলেন আর্মি অফিসার।স্বামী মারা যাবার পর পুর্নগঞ্জের বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।

বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের সদস্যা। স্থানীয় মানুষদের দাবি তিনি প্রতিদিনই জেলা পরিষদে যাওয়ার আগে ঝাঁটা দিয়ে এই জায়গাটা পরিষ্কার করেন। মাঝে মাঝে ব্লিচিং দিয়েও পরিষ্কার করতে ওনাকে দেখা যায়।

প্রাক্তন বিজ্ঞান শিক্ষিকা বর্তমানে নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্যা লিপি সরকার জানান “আমি জেলা পরিষদের সদস্য পরে, আগে আমি একজন গ্রামবাসী। আমি আমার নিজের বাড়ীর মতন করে এই জায়গাটা পরিস্কার করি ব্যাকওয়াশ করি, যাতে আশেপাশের লোকেরা এই জলটা পান করতে পারেন। জনসেবামূলক কাজ করতে আমার ভালো লাগে। এছাড়া এখন করোনার প্রকোপ সেই জন্য আমাকে এই জায়গাটা পরিষ্কার রাখতেই হয়”।

নদীয়া জেলা সভাপতি রিক্তা কুন্ডু জানান- উনি আগে শিক্ষিকা ছিলেন। উনার কাছে গ্রামবাসীরা তো এটাই আশা করেন। উনাকে আমরা সদস্যা হিসাবে পেয়ে গর্বিত। উনি খুবই সচেতন মানুষ। ওনার মতন আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে উজ্জল বন্দোপাধ্যায় জানান লিপি সরকার এর মত একজন জনপ্রতিনিধি পেয়ে আমরা গর্বিত ।

Leave a Reply