মলয় দে নদীয়া:- সাত বছর বয়সী রিম্পা দাস মায়ের সাথে গুপ্তিপাড়া থেকে হবিপুর এ মামা বাড়ি যাচ্ছে লঞ্চে করে, প্রায় ৯০ দিন আগে মামাবাড়ি গেছে বহুবার কিন্তু এরকম আনন্দ পায়নি কোনদিন!
যাত্রী আসনে মায়ের পাশে গোলাপি একটি বিরাট বড় টেডিপুতুল, মায়ের পাশে আরেকটি লাল রংয়ের, সামনে পেছনে সব জায়গায় রংবেরঙের টেডিপুতুল পেয়ে শুধু মাম্পি কেন! খুশি লঞ্চে যাতায়াত করা সব বাচ্চারা। বাচ্চারা খুশি হলেও অভিভাবক বা পূর্ণবয়স্ক যাত্রীরা কতটুকু বুঝলেন বিষয়টি! বুঝলেন কি বুঝলেন না সেটা বড় কথা নয় পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি করে বসার কোন সম্ভাবনাই নেই এই আয়োজনে।
ঘাট মালিক শ্যাম সাহা জানান “সমস্ত ভাড়া অপরিবর্তিত রেখে , পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাত্রীদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার। তাই ফেরিঘাটে পারাপারের সময় যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন করা, থার্মাল স্ক্রিনিং করা এবং পরিশেষে একজনের পাশে অন্যজনকে বসতে না দেওয়ার উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে এই পথ।”
শান্তিপুর থেকে গুপ্তিপাড়া দুটি লঞ্চ পারাপার হয় সারাদিনে বার দশেক। লঞ্চের ক্ষেত্রেই একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৮০টি পুতুল যাত্রী আসনে বসিয়ে।