মলয় দে নদীয়া:-লকডাউন শিথিল হতেই ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক দুই করে বর্তমানে শান্তিপুরে এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে তেরো জনে। শতকরা আশি শতাংশ তাঁত কাপড় সংক্রান্ত তাঁতি বা ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার কথা মাথায় রেখে সুত্রাগড় অঞ্চলের ঘোষ, বঙ্গ এবং জগদ্ধাত্রী কাপড়ের হাট বহু জল্পনার পরে খুলছে আজ। কিছুদিন আগেই মহকুমা শাসক স্বয়ং নিজে মিটিং করে গেছেন এ বিষয়ে।
তবে হাট কমিটির পক্ষ থেকে বিভাস ঘোষ জানান “পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাক্স লাগিয়ে অল্প সময়ে কাজ সারতে হবে ক্রেতাদের। এই তিন হাটে আগত ৩-৪ হাজার বিক্রেতার মধ্য থেকে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া তাঁতী ও বিক্রেতাদের হাট কমিটি বিশেষভাবে সহযোগিতা করবে, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নজরদারি চালাচ্ছেন যানবাহন জটলা থেকে বিরত থাকার জন্য। স্থানীয় পৌরসভা থেকেও সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য সতর্কতা বার্তা প্রচার চালাচ্ছে।
হাট কমিটি সূত্রে জানা যায় সপ্তাহে বৃহস্পতি বার অর্ধেক বিক্রেতাকে ও বাকি অর্ধেক বিক্রেতাকে রবিবার বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ একটি চালা র পাশে একটি ফাঁকা থাকবে।
যদিও এ বিষয়ে অনেকেই আশঙ্কা বোধ করেছেন, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী হাটের একদম সন্নিকটে দুটি স্কুলের মাঠে আরো দূরত্ব বজায় রেখে ভোর চারটা থেকে সকাল নটার মধ্যে রোদ ওঠার আগেই শেষ করে দেয়া যেতে পারতো হাট। যদিও দীর্ঘদিন বাদে আজ প্রথম হাট খোলায় এবং ট্রেন বাস এখনো সাবলীল না হওয়ায় স্থানীয় অল্প কিছু ক্রেতা চোখে পড়লো। তবে বিক্রেতা এবং হাট কমিটি এ বিষয়ে আশাবাদী ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।