মলয় দে নদীয়া :-চাকরিতে সৃজনশীলতা নেই, নেই স্বাধীনতাও ।তাই নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোপখানা পাড়া এলাকার বাসিন্দা শান্তিপুর কলেজের বি এ থার্ড ইয়ারের সৌম্যদীপ মন্ডলের ইচ্ছে শিল্পকর্মের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
ডব্লিউ বিসিএসে বেশ কিছুটা এগিয়েও ছিলো সে, তবে শিল্পকর্মে সৃজনশীলতার আনন্দ চাকরিতে নেই, এমন ভেবেই মিনিএচারে মন দিয়েছে সে। কুম্ভকার সম্প্রদায় ভুক্ত নয়, সৌম্যদীপ তার বাবা সন্দীপ মন্ডল পেশায় শ্রমিক তাঁত শ্রমিক।পরিবারের কেউ কখনো, এ ধরনের শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়। তার এক গৃহ শিক্ষক জগন্নাথ বাবুর এধরনের হাতের কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মাঝে মাঝে সেখানে ছোটবেলায় যেত সৌম্যদীপ, বাকিটা বিভিন্ন পালবাড়িতে ঠাকুর বানানো এবং চোখ আঁকার সময় চোখে দেখেই শিক্ষা লাভ। আর তাতে ই ভরসা করে, একটি রাধা কৃষ্ণ, একটি কালী প্রতিমা, চারটি গোপাল এবং তিনটি সরস্বতী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভর করে জেলা পেরিয়ে পৌঁছেছিলো কলকাতায়। আর তাতেই খানিকটা সাহস পেয়েছিলো সে।
কালী প্রতিমা জেলা পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ,জগদ্ধাত্রী মূর্তি মেদিনীপুরে এভাবেই বহু ছোট প্রতিমা পৌঁছে জেলা পেরিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
বর্তমানে চলছে সরস্বতী বানানোর কাজ ,এখনো সমাপ্ত না হলেও ইতিমধ্যেই তা সোশ্যাল মিডিয়ার যোগাযোগ এ কথা হয়েছে বেশ কয়েকজনের সাথে, যার মধ্যে একটি মূর্তি যাবে কলকাতা। অসাধারণ চারটি মিনিয়েচার তৈরি করে রাখা রয়েছে , বিক্রির প্রতীক্ষায়। আঁকতে ভালোবাসে সৌম্যদীপ, তাই এ কাজে তুলিই ভরসা ছিল তার। বাবা মার একমাত্র সন্তান হওয়ার কারণে, উপার্জনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই । তবে সৌখিন পূজারীর সংখ্যা বাড়ছে, যার ফলেই দিনের পর দিন বাড়ছে মিনিয়েচারের প্রতি ঝোঁক। আর সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চায় সে।
তবে তার ভালোবাসার এবং স্বপ্নের শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রেখে। সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে বড় বিক্রির প্ল্যাটফর্ম এবং গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য। এছাড়া আর কোনো চাহিদা নেই সৌমদীপের।
্