সোশ্যাল বার্তা : ৯৬ বর্ষিয়ান অ্যালেস সোনাউনে (বনলতা চন্দ), একজন ধার্মিক মহিলা। স্বামী স্বর্গীয় পরেশ চন্দ্র চন্দ ছিলেন একজন ইন্ডিয়ান আর্মি। নিবাস কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরে। দেশ ও সমাজের প্রতি বনলতা দেবীর ভালোবাসা বাল্যকাল থেকেই।
নিজে চোখে দেখেছেন স্বাধীনতা আন্দোলন। স্বাক্ষী থেকেছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্টের স্বাধীনতার দিন মানুষের বাঁধ ভাঙা আনন্দের। অ্যালেস দেবীর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা মহারাষ্ট্রের মনমড় শহরে। পড়াশুনা মিশনারী স্কুলে। তারপর বিবাহ সূত্রে স্বামীর সাথে সোজা চলে আসেন এই সোনার বাংলায়। এখানে এসে বাংলা লেখা পড়া শিখে নেন, স্বামীর কাছ থেকে । আপন করেন নেন বাংলার সংস্কৃতিকে।
অ্যালেস সোনাউনের নতুন নাম করণ হয় বনলতা চন্দ । বাইবেল পড়া এবং সেই আদর্শকে পাথেয় করে পথ চলা তাঁর নিত্য সাধনা। বাংলা খবরের কাগজ পড়ে নিজেকে এখনও আপডেট রাখা তার প্যাশান। করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক ভাইদের কথা শুনে তার হৃদয় ব্যথিত হয়। নিজের পেনশনের থেকে কিছু জমানো অর্থ দিয়ে আজ দোগাছী পঞ্চায়েতের পাশ্ববর্তী তিনটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা ৫৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ” কৃষ্ণনগর আনন্দধারা”র সাহায্যে ।
তিনি বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে বলেন- “ ঈশ্বরের নামে কাউকে উপকার করলে মহান ঈশ্বর অপরিমেয় আশির্বাদ করেন।”