সোশ্যাল বার্তা : মুখে ভাত হোক বা বৌভাত, ডাল ভাতের সাথে বাঙালির সম্পর্ক রক্তের। আর সেই ন্যূনতম চাহিদা জোগাড় করাই দুরস্ত হয়ে উঠেছে লকডাউন এর বাজারে।
পথ চলা শুরু মায়ের হাতের রান্না করা খাবার নিয়ে বগুলা স্টেশনে ৩ জন অসহায় মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। প্রথমে মা শেফালী বিশ্বাস রান্না করে দিতেন আর ছেলে সুব্রত বিশ্বাস সাইকেলে করে পৌঁছে দিয়ে আসতো খাবার গুলো। আস্তে আস্তে ভবঘুরে-অভুক্তদের সংখ্যা বাড়তে লাগলো তার সাথে সাথে পাড়ার কিছু অভুক্তদের সংখ্যা ৪০ জন তখন রান্নার জন্য জুটলো আরো অনেক মা, ছেলের বন্ধুরা সবাই মিলে প্রতিদিন ওই ভবঘুরেদের রাতের খাবার পৌঁছে দিতো।
এখন সদস্য সংখ্যা ৬০ জন। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে তারা প্রতিদিন হাঁসখালী ব্লকের অনেক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলোতে এবং ইট ভাটা গুলোতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। সাধারণত সেই সব মানুষদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দেয় যাদের রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই, যাদের থাকার জায়গা ফুটপাত বা স্টেশনে।
এলাকার যেসব অসহায় মানুষ আছে এবং যাদের রান্নার ব্যবস্থা আছে তাদের দেওয়া হয় চাল, ডাল, তেল, নুন, হলুদ, জিরে , কাঁচা সব্জী ইত্যাদি।
ভাত ব্যাংকের একমাত্ৰ উদেশ্য কেউ যেন অভুক্ত না থাকে, ভবিষ্যতের সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে এই সংগঠনের সদস্যরা এই সংগঠনের সদস্যরা ।
নদীয়া বাসীর কাছে তারা একটাই আবেদন করেছেন অভুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর, আপনার একমুঠো অন্ন হয় তো এক অনাহারির জীবন বাঁচবে, কোনো অসহায় শিশুর মুখে হাসি ফোঁটাবে এমনটাই মনে করেন ভাত ব্যাংকের তানিয়া ,মৌসুমী , রুমা সুব্রত, বিরু, সঞ্জয় ,প্রতাপ, পার্থসারথিদের মতো সদস্যরা।