শান্তিপুর মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে  সপ্তাভোর অনলাইনে সেমিনার  

Social

মলয় দে, নদীয়া : বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কলেজে প্রথম পাঠন বন্ধ থাকলেও শেখার তাগিদ এবং শেখানোর দায়বদ্ধতা পূর্ণ হয়েছে বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতিতে। তাই জাতীয় বিপর্যয়ের অতিমারি পরিস্থিতিতেও শান্তিপুর কলেজের ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে ঘরে বসেই প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অনলাইনে একসপ্তাহব্যাপী একটি কর্মশালার অনুষ্ঠানিক সূচনা হলো আজ থেকে।

“জনপ্রিয় সাহিত্য” ও “নারীবাদ” বিষয়ক এই আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধক ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য্য অধ্যাপক ডঃ শংকর কুমার ঘোষ এবং রানাঘাট মহকুমা শাসক এবং শান্তিপুর কলেজের প্রশাসক হরসিমরান সিং। এই কর্মশালায় মূল্যবান বক্তৃতা পেশ করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপিকা ডঃ শর্মিলা মজুমদার সহ এ রাজ্যের ছটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ইংরেজি ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং নারী বিদ্যাচর্চার অধ্যাপক অধ্যাপিকাগণ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অধ্যাপিকা ডঃ মেরুনা মুর্মু, অধ্যাপক ডঃ কল্যাণ কুমার দাস, অধ্যাপক ডঃ সাগর তরঙ্গ মন্ডল, অধ্যাপক ডঃ হার্দিকব্রত বিশ্বাস, অধ্যাপক ডঃ সংযুক্তা চ্যাটার্জী, অধ্যাপিকা ডঃ বিজলী ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক ডঃ পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিশেষজ্ঞগণ।

এই কর্মশালাটি মূলত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের রাজ্যের বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৪০০ জন গবেষক, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী ৫০০ জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন।

শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যের পৃষ্ঠপোষকতায়
আই কিউ এস সি -র সচিব এবং অধ্যাপিকা ডঃ আত্রেয়ী পালের সহযোগিতায় ইংরেজি বিভাগের প্রধান ডঃ অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যর কর্মদক্ষতায় এই মহৎ কর্মযজ্ঞ সম্ভব হয়েছে বলেই জানা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে।

এ বিষয়ে শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য জানান ” শান্তিপুর কলেজের সুনাম শুধু রাজ্যের মধ্যেই নয়, ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা তেই হার মানবো না। এর আগেও বিভিন্ন বিভাগে অনলাইনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে তা আরো বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি।”

ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য জানান” সপ্তাহব্যাপী এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত অনলাইনে রেকর্ডিং দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। এবং সমস্ত বিষয়টি নিয়ে একটি ইবুক প্রকাশ করা হবে। যা আগামীতে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।”

Leave a Reply