রায়গঞ্জঃ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও হার মানেননি তাঁরা। দুই ভাই হাবল দত্ত ও বাবল দত্ত। প্রায় দৃষ্টিহীন দুই ভাই গান ও তবলা শিখিয়ে সংসার চালান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গান ও তবলার ক্লাসও। বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ দিদি। মাস গেলে আয় বলতে দুই হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা। হাতে জমানো টাকাও শেষের মুখে। এই অবস্থায় স্ত্রী-সন্তান ও অসুস্থ দিদিকে নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের।
রায়গঞ্জ শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাবল দত্ত ও বাবল দত্ত। মূলত গান ও তবলার টিউশন করিয়ে সংসার চলত তাঁদের। একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, অন্যদিকে লকডাউন। এই জোড়া প্যাঁচে বিপাকে পড়েছেন দু’ভাই । এদিকে মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিউশন। ফলে উপার্জন নেই বললেই চলে। প্রতিবন্ধী ভাতায় সংসার চালানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেও কিছু করতে পারছেন না তাঁরা।
তবলা প্রশিক্ষক হাবল দত্ত জানান, লকডাউনের জেরে তবলার প্রশিক্ষণ বন্ধ। বাড়িতে কেউ আসছে না, বাইরেও বেরোতেও পারছি না। পরিবারের সাতজনের খাবার জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অন্য ভাই বাবল দত্ত বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে গান শিখিয়ে আসছি। মার্চ মাস থেকে টিউশন বন্ধ। বাড়িতে জমানো টাকাও শেষ। সরকারি তরফে কোনও সাহায্যও পাচ্ছি না। বুঝতে পারছি না এভাবে কতদিন চলবে।