ধীমান ভট্টাচার্য্য, রানাঘাট: আমফান ও তার পরবর্তী ঝড়ে পরে গিয়েছে আনেক গাছ। বিশেষজ্ঞদের মতে ১০ বছরেও সে ক্ষতি পূর্ণ হবেনা।
গতকাল ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস, তাই এই দিনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সরকারী বেসরকারী দপ্তর গুলি বৃক্ষ রোপনে সামিল হয়েছিল।
নদীয়াতে আনান্য দের মতন সামিল হন জাতীয় বাংলা সন্মেলনের নদীয়া জেলার সংগঠন নদীয়া বাংলা সন্মেলন। গতকাল ধানতলা থানার পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষ রোপন দিয়ে তাদের কর্মসূচি শুরু করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি, তার পর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তাদের কর্মসূচী পালিত হয়। কল্যণী,চাকদাহ, রানাঘাট, কালীনারায়ণপুর, তাহেরপুর,বগুলা, কৃষ্ণনগর,নবদ্বীপ,তেহট্টে ও বেতাই তে তারা তাদের কর্মসূচী পালন করেন।
সংগঠনের জেলা সভাপতি শিক্ষক রূপঙ্কর ব্যানার্জি বলেন “আমফান ও তার পরবর্তী ঝড়ে সমগ্র দক্ষিন বাংলায় বহু গাছ পরে গেছে, তাই নদীয়া বাংলা সন্মেলনের পক্ষ থেকে সারা জেলার সহযোদ্ধারা মিলে এই সম্পুর্ণ জুন মাস যুরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি নিয়েছি, এদিন ধানতলা থানার সামনে থেকে আমরা বৃক্ষ রোপন শুরু করলাম,ধানতলা থানার যৌথ উদ্যোগে আমরা বৃক্ষ রোপন করি। সারা জেলায় ৪০০০ বৃক্ষ রোপনের লক্ষ আছে আমাদের।”
এদিন রূপঙ্কর বাবু ধানতলার ওসি সুজয় কুমার মন্ডলের প্রসংশা করে আরো বলেন “ওসি স্যার কথায় কথায় বলেন আমি কিন্তু কোন আধিকারিক নই,একজন সাধারণ পুলিশ কর্মী, এধরণের চিন্তা ভাবনা যার,সে ওসি যে এলাকায় থাকবে সেখানের মানুষ সুবিচার ও সুরাহা পাবে।”
এদিন জাতীয় শিক্ষার্থী সন্মেলনের পক্ষ থেকেও চাকদাহ ও কালীনারায়ণপুরে বৃক্ষ রোপন করা হয়।