সোশ্যাল বার্তা: সারাবিশ্ব আজ এক ভয়াবহ অসম যুদ্ধে ব্রতি হয়েছে এক অদৃশ্য শত্রু’র বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় এসবের শেষ খুজতে যখন আমাদের দেশের ডাক্তার নার্স ও প্রশাসন ব্যতিব্যস্ত, তখনই এক বিধ্বংসী ঝড় এসে শেষ সম্বল ভিটেমাটি পর্যন্ত সব উতাল পাতাল করে দিয়ে বিদায় নিল।
তেমনি এক নিঃশব্দ, নিঃসঙ্গ, হাহাকার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সাগরদ্বীপের পাথরপ্রতিমা বামনখালী সাড়ে পাঁচশ পরিবারের লোকজন। বিস্ময়কর বিষয় হলো তাদের দুচোখের জলও যেন কেড়ে নিয়ে গেছে । আজ তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
নদীয়া ও কলকাতা জেলার সেবামূলক সংগঠন ভ্রমর । অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বদ্ধ তারা। পাশে পেলো আরো দুই সহযাত্রীকে হাসি ও চাদর কে, সবাই মিলে কলকাতা ভ্রমরিয়ান্স দের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তাদের জন্য সামান্য দৈনন্দিন সামগ্রিক প্রদানের ব্যবস্থা করা হলো গত পরশু ।
বিতরণ করা হলো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, লবন, চিনি, চিড়ে,সুজি, ডিম,বিস্কুট ও সোয়াবিন । মাথার ওপর যাদের শুধু খোলা আকাশ তাদের প্রত্যেকের জন্যে ছিল ত্রিপল, তাছাড়া ও মহিলাদের জন্যে স্যানিটারি প্যাড ও প্রত্যেকের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ও. আর. এস, সাবান ও জল শুদ্ধিকরনের জন্যে জিওলিন।
ভ্রমরের সদস্য শুভঙ্কর রায় এর কথায় “ধ্বংসলীলা খুব কাছ থেকে দেখলাম। প্রথম যখন খোঁজ পাই আমরা অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম কাজটা করার জন্যে। অনেক বাঁধা বিপত্তি সত্বেও আমরা যে এত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি তাতে আমরা সার্থক। ভবিষ্যতে আরো অনেক মানুষকে পাশে পেলে বরাবরের মতো আবার ও ছুটবো ওদের জন্যে”