ইঁটভাটা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিলো ভাটা মালিক

Social

মলয় দে, নদীয়া;- চরম এই সংকটময় মুহূর্তে নিকট আত্মীয় পরিবারবর্গের একটাই প্রচেষ্টা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো। সরকারি বিধিব্যবস্থা টিভিতে সংবাদপত্রে, বাস্তবে সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। নিজের তাগিদেই ফিরছেন বহু শ্রমিক। কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।

আজ নৃসিংহপুর বি বি এফ ইঁটভাটায় কর্মরত আবাসিক শ্রমিকদের বিহারের গয়া জেলায় ফেরাতে উদ্যত হলো ঠিকাদার নকুল চৌহান এবং ভাটা মালিক জ্যোতির্ময় ব্যানার্জি। ঠিকাদার নকুল বাবু গত দুর্গাপুজোর পর এই ভাটায় যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র এই ভাটা নয় শান্তিপুরে বেশিরভাগ ভাটায় শ্রমিক সাপ্লাই দেন তিনি।

এমসি ভাটা নামে তার একটি নিজস্ব ভাটা আছে। সেই সুবাদেই নানা জায়গার ভাটা শ্রমিকদের সন্ধান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইঁটভাটা খোলা হলেও, বিক্রি নেই ইঁট। তবুও লকডাউন এর মাঝে এই বিশ্বকর্মাদের প্রাত্যহিক ২০০ -২৫০ টাকা মজুরি দেওয়ার পরও আহারের ব্যবস্থা করেছেন বেশ কিছুদিন।

একদিকে বেরোজগার , অন্যদিকে নিকটাত্মীয়দের স্মৃতি এই দুয়ের টানাপোড়নে মন অস্থির ঘরে ফেরার টানে। ৯২ সিটের একটি বাস ৬০০০০ টাকা ভাড়া করে ৬০-৭০ জন কে পৌঁছাতে চলেছেন বিহারে। যেভাবে করনা সংক্রমণ বাড়ছে হয়তো বা আর আসা হবে না বেশ কয়েকজন বছর যাবৎ, তবুও নিজের আত্মীয় স্বজন পরিচিতদের মাঝে এ সময় থাকতে পারলে আনন্দিত হবেন তারা, এমনটাই জানালেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে মালিক এবং ঠিকাদারের পক্ষ থেকে জানা যায়, একেতেই ইট বিক্রি নেই! ঝড় বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়েছে ভাঁটার, এতগুলো জীবনের থেকে ব্যবসা বড় নয়, তাই ঘরে ফেরাতে উদ্যত হয়েছি আমরা। ম্যানেজার বিশ্বেশ্বর মাহাতো চোখের জল মুছতে মুছতে জানালেন মা-বাবা কাজ করতো বাচ্চাগুলো আমার সঙ্গে কাটাতো সারাদিন, বড় একা হয়ে গেলাম!

Leave a Reply