মলয় দে নদীয়া :-ডায়গনিস্ট সেন্টারে ইউএসজি রিপোর্ট অনুযায়ী,এক ১৭ বছরের নাবালিকার পেটের টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে, ডাক্তার হতবাক! এ ধরনের কোনো বিষয়ই নয়। পরিবারের দাবি তাহলে, শুধু শুধু মেয়ের পেট কাটা হলো কেনো? ক্রস চেকিং পরীক্ষার কথা জানতে চাইলে ডাক্তার বলেন যথেষ্ট রেপুটেশন থাকার কারণে ওই প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের রিপোর্টের ভিত্তিতে অপারেশন। প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের মালিক , জানান টেকনিশিয়ানের ভুল না রিপোর্টে সই করা ডাক্তারের সে বিষয়ে জানার পরে তবেই, পরিষ্কার হবে বিষয়টি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন হলেও, চরম এই ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার শান্তিপুরের
বিশ্বশুক পল্লী, হরিপুর স্ট্রীটের ১৭ বছর বয়সী সোনালী মন্ডলের সাথে। নাবালিকার মা, মনিকা সরকার জানান,
গত এক মাস ধরে পেটে সামান্য ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলো মেয়ে।
তারপর তিনি এলাকায় এক গ্রামীন ডাক্তারকে দেখালে তিনি পেটের ছবি অর্থাৎ ইউ এস জি করতে বলেন। সোনালীর বাবা কর্মক্ষেত্রে বাইরে থাকার কারণে, জ্যাঠামশাই উত্তম মন্ডল
সোনালীকে নিয়ে শান্তিপুর কলেজের মোড়ে হেল্প ইউ ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পেটের ইউএস জি করায়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, জানতে পারেন সোনালীর পেটে একটি টিউমার আছে।
সেই মতন তিনি গাইনোলজিস্ট সুমন দেব কে দেখান ,তারপর শান্তিপুর শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমে তার অপারেশন হয় গতকাল।
অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার জানান তার পেটে কোন টিউমারই নেই। খুব স্বাভাবিক কারণেই, পরিবারের প্রশ্ন তাহলে , পেট কেটে অপারেশনের কি প্রয়োজন ছিলো! কেনোই বা আরো একটি ডায়গনিস্ট সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানো হলো না?
জবাবে ডাক্তার বাবু জানান, ডায়গনিক সেন্টার সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে তবেই সে প্রশ্ন আসে, কিন্তু যথেষ্ট সুনাম থাকার কারণে , সে প্রয়োজন হয়নি।
অন্যদিকে টেকনিশিয়ানের ভুল না যে ডাক্তার বাবু ওই রিপোর্টের সই করেছেন তার ভুল সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক কোন মতামত দিতে চাননি। তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলেই জানিয়েছেন।
সদুত্তর না পাওয়ার কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে শান্তিপুর থানা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেই আমাদের কাছে জানিয়েছেন পরিবার।