মলয় দে নদীয়া:- একেতে করোনা আতঙ্ক, কর্মহীন বে-রোজগার। অন্যদিকে আমফান ঝড়ের দাপটে মাথার উপর নড়বড়ে চলাটাও ভেঙে পড়েছে। বাপ ঠাকুরদা চৌদ্দপুরুষের আমলে রমজান মাসে রোজা করেনি এমন মুসলমান নজির মেলা ভার! করোনার আতঙ্ক এতোটুকু থাবা বসাতে পারেনি ধর্মীয় বিশ্বাস ভাবাবেগে। তবে অবশ্যই মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে বসেই নামাজপাঠ হয়েছে সরকারি রীতি মেনেই।
নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডের তোপখানা পাড়া লেনের ইমরান খালিফা পেশায় হ্যান্ডলুম শাড়ির ব্যবসায়ী।লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে প্রান্তিক মানুষদের সহযোগিতায় নিজেকে নিয়োজিত করেছে নিত্যনৈমিত্তিক। আর এই সুবাদে সে উপলব্ধি করেছিলো বাড়ির দু-একজন রোজা করলেও বাকি সদস্যরা দীর্ঘ এক মাস গোটা পরিবার মূলত অভাবের কারণেই মাছ মাংস ডিম থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
এলাকার এমনই ১২৫ টি পরিবারের মুখের স্বাদ ফেরাতে আজ আয়োজন করেছেন আস্ত মুরগি, বাসমতি চাল সহ বিরিয়ানির সমস্ত উপকরণ, সাথে নতুন বস্ত্র। স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় এই মহান কর্মযজ্ঞে।
আয়োজক ইমরান খালিফা জানান ‘প্রতিবারই রোজার কঠোর নিয়ম রক্ষা করতে পারি ১০ থেকে ১৫ দিন। তখনই বুঝতে পারি যারা তিরিশটি রোজাই সম্পূর্ণ করেন তাদের কতটা কষ্ট হয়! তার উপর ইফতারের সময়ও পুষ্টিকর খাবার জোগাড় করতে পারেননি এবারে। তাই তাদের সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হোক আমার রোজা।”
আগন্তুক প্রান্তিক প্রাপকদের কাছ থেকে জানা যায় প্রাক্তন এমএলএ মোকসেদ আলীর নাতি বলে কথা! রক্তেই রয়েছ দান-খয়রাত।
বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য জানান ” গৃহবন্দি তাই কি ? খুশির ঘাটতি হবেনা এতোটুকু! যেকোনো প্রয়োজনে পৌঁছে যাবো আমি নিজে।”