শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : করোনা দগ্ধ থিক থিকে ঘা শুকাতে না শুকাতে ই আমফানের পূর্ণাঘাত! জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে কি ভাবে? কথায় আছে , মরার উপর খাঁড়ার ঘা! বঙ্গবাসীর অবস্থা হয়েছে ঠিক সে রকম। আন্তর্জাতিক অদৃশ্য দানব করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আঘাত সামলাতে না সামলাতেই পূনরায় প্রত্যাঘাত বিদ্ধংসী আমফানের। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্ৰস্থ দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ খোদ রাজধানী কলকাতা।বাদ যায়নি পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিও। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার প্রান্তিক মানুষেরা আমফান তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়গ্ৰস্থ হয়েছে। কাঁচা বাড়ি ঘর ধুলিসাৎ, বিদ্যুৎ সংযোগ কেবলমাত্র বিচ্ছিন্ন ই নয়,পিলার ভেঙ্গেছে অগনিত।
মাঠের ফসল বিশেষত বোরো ধান পাকার মরসুম এখন।মাঠ কে মাঠ ধান পেকে আছে,বহু চাষী, তাদের ধান কেটে বাড়িতে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি,জমিতেই জড়ো করে রেখেছে।প্রবল বর্ষণে জমিতে জল থৈ থৈ করছে।এই অবস্থায় চরম সংকটে কৃষকেরা। বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কলা চাষিরা। আমফানের উশৃঙ্খল তান্ডব লীলায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে চাষীদের কলা বাগান।
নদীয়া জেলার কবিমপুর,রামনগর, কালিগঞ্জ, ফুলিয়া, মদনপুর প্রভৃতি এলাকায় এবছর ব্যাপক করার চাষ হয়েছিল। অধিকাংশ গাছের মাঝখান থেকে ভেঙ্গে গিয়েছে।অপরিনত কলার কাঁদি, জমিতে সারি সারি ভাবে পড়ে আছে,এ দৃশ্য খুব ই মর্মান্তিক। অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা এবং এর প্রভাব পড়বে গ্ৰামীণ অর্থনীতিতে।
আয়লার থেকেও মারাত্মক সাইক্লোন আমফান, এ ভাষাতেই সুপার সাইক্লোনের ভয়াবহতা বর্ণনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। একটি সংবাদ প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ বাংলাদেশে যে আঘাত এনেছিল সাইক্লোন আয়লা, তার থেকেও ঘূর্ণিঝড় আমফানের বীভৎসতা মারাত্মক। শুক্রবার ভারতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান এক দশক আগের আয়লার থেকে ভয়ংকর।
আমফানের জেরে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাইক্লোন আয়লার থেকে বেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছিল সাইক্লোন আমফান।’এই অবস্থায় ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাথমিকভাবে এই ক্ষতি সামলাতে ভারতকে পাঁচ লক্ষ ইউরো দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এটা ঘোষণা করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিপর্যয় মোকাবিলা কমিশনার জানেজ নেরাসিস।