নিজস্ব সংবাদ দাতা–পে কমিশনে চুড়ান্ত রিপোর্টে নেই টিজিটি স্কেলের সংস্থান,একের পর এক জেলা বিক্ষোভ করেই চলেছে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ। আগেই ঠিক ছিল ১৮ ই অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। এরই মধ্যে হাওড়া জেলা বিজিটিএ কমিটি বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডি আই ডেপুটেশন কর্মসুচী’র অনুমোদন নিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে অক্টোবরের ১৭ তারিখেই।
(ফাইল চিত্র)
হাওড়া জেলার অন্যতম কর্মকর্তা যুগল ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ও শেখ রমিজুর রহমান বলেন, “পশ্চিম বঙ্গ সরকারের কাছে আমরা মানে গ্র্যাজুয়েট টিচার রা অপাংক্তেয়। বর্তমানে ঘোষিত সমস্ত প্রকল্প সহ একাদশ দ্বাদশ শ্রেনিতে পাঠদান করে এই গ্র্যাজুয়েট টিচাররাই অনেক স্কুলকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর সেই গ্র্যাজুয়েট টিচারদেরকেই চুড়ান্ত অবহেলা করে আসছেন পশ্চিম বঙ্গ সরকার। তাদের ন্যায্য পাওনা ৯০০০-৪০৫০০ ও গ্রেড পে ৪৬০০ এর বদলে একটা মনগড়া স্কেল ৭১০০-৩৭৬০০ ও গ্রেড পে ৪১০০ দিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। বিজিটিএ দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, মন্ত্রী-সান্ত্রীদের কাছে ঘুরে ঘুরে শুকতলা ক্ষইয়ে ফেললেও কোন সুফল মেলেনি। এমনকি বিজিটিএ প্রতিনিধি দল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী’র সাথে দেখা করলে তিনি আশ্বাস দিয়ে ও কোন পদক্ষেপ নেন নি। সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হল মহামান্য হাই কোর্টের জারী করা রিট অফ ম্যান্ডামাস কে অবজ্ঞা করে এই সরকার এবারের পে কমিশনে একজন পিজিটি ও টিজিটি টিচারের প্রারম্ভিক মুল বেতনের তফাত অস্বাভাবিক বাড়িয়ে ৩২০০ থেকে ৯২০০ টাকা করেছে,যা প্রকৃতপক্ষে হওয়া উচিৎ ছিল কমবেশী ২৭০০ টাকা। আমাদের হাওড়া জেলার বিজিটিয়ান রা ক্ষোভে ফুঁসছে সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচারণে। বিজিটিএ কেন্দ্রীয় কমিটি লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসুচীর ডাক দিয়েই রেখেছে। আমরা হাওড়া জেলার পক্ষ থেকে অন্যান্য জেলার মতই আগামী ১৭ই অক্টোবর হাওড়া জেলা ডি আই অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। হাওড়া জেলায় বিজিটিএর সংগঠন খুবই মজবুত। তাই আশা করছি ঐদিন জেলার নানা প্রান্ত থেকে প্রান্ত থেকে প্রায় হাজার খানেক গ্র্যাজুয়েট টিচার বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হবেন।” মিঃ ঘোষ ও মিঃ রহমান আরও বলেন,” বিজিটিএ সরকারের বে আইনী ও অপমান কর ওয়েব বেসড স্টাফ প্যাটার্ন বানানো একটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। এর বিরুদ্ধে বিজিটিএ ইতিমধ্যে হাইকোর্টে গিয়েছে, এবং প্রতিটি জেলার ডি আইদের কে ও মুল দাবীর সাথে এই ব্যাপারে ডেপুটেশন দেওয়া হচ্ছে। হাওড় জেলায় ও তার ব্যতিক্রম হবে না। বিজিটিএ সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা চাইছি না, চাইছি আমাদের ন্যায্য অধিকার, দাবী জানাচ্ছি হাইকোর্টের রায় কে মান্যতা দেওয়ার! যতক্ষন না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করবেন বিজিটিএ’র আন্দোলন চলবে আরো চূড়ান্তভাবে।”