দেবু সিংহ , মালদা: লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই খেঁটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিল মালদহের চাঁচল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। কখনও টোটোতে, কখনও গাড়িতে করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে হাজির হয়ে দুঃস্থদের হাতে খাবার তুলে দিয়েছেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্ণধার থেকে শুরু করে শিক্ষকরা।
সোমবার ৫০ দিনে পড়ল তাদের সেই উদ্যোগ। ঘটনাক্রমে আবারও লকডাউন বেড়েছে। সোমবার থেকে ফের চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। আর এদিন নিজের বাড়ির সামনে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দুঃস্থ ২০০ জন বাসিন্দার হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন কলেজের কর্ণধার আসফাক আলম ওরফে রাজু। এদিন রানিকামাত, জয়বাংলা, হাটখোলা এলাকার ক্ষৌরকার, পুরোহিত ও দুঃস্থ বাসিন্দাদের প্রত্যেককে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন ও সাবান দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ২২ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পরেই খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্দশা দেখে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তারপর থেকে নিয়মিত তাদের খাদ্য সামগ্রী গিয়ে চলেছেন। ঝড়বৃষ্টি হলেও থেমে থাকেননি তারা। নিয়মির রুটিন অনুযায়ী তারা এই পঞ্চাশদিন ত্রান বিলি করে চলেছেন।
দফায় দফায় বেড়েছে লকডাউন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেননি তারা। এতদিন পর্য়ন্ত তারা শতাধিক গ্রামে দুঃস্থ পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এরমধ্যে বিলি করেছেন ১০০ কুইন্টাল চাল, ৫০ কুইন্টাল আলু, ২৫ কুইন্টাল পেয়াজ ও সাড়ে ১২ কুইন্টাল ডাল।
লকডাউনের শুরু থেকেই টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নাগরিকদেরও অনেকেই। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাননা তারা। কর্ণধার আসফাক আলম ওরফে রাজু বলেন, লকডাউন না ওঠা পর্য়ন্ত আমরা দুঃস্থদের সাধ্যমতো সাহায্য করে যাব। আমাদের মতো অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দুঃস্থ মানুষগুলির মুখে একটু যে হাসি ফোটাতে পারছি, তাদের আশীর্বাদ পাচ্ছি সেটাই আমাদের কাছে অনেক। এর বেশি কিছু চাই না। আমরা পাশে আছি থাকবো।