মলয় দে,নদীয়া : প্রচারে নয় পাশে থাকার অঙ্গিকার নিয়ে স্পর্শ এগিয়ে চলেছে মানুষের সেবা করার মধ্য দিয়ে । লক ডাউনের শুরু থেকে স্পর্শ পৌঁছে গেছে পর্যায়ক্রমিক বিভিন্ন জায়গায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে বেঁচে থাকার সাহস জুগিয়েছে ।
একমুঠো অন্নের জোগান তুলে দেওয়াটাই ছিল তাদের পরিচিত বাস্তবের ছবি কিন্তু গতকাল ও আজ স্পর্শের গন্তব্য ছিল এক ভিন্ন জগতে । যে জগতে সভ্য সমাজের প্রবেশ নিষেধ , যে সমাজের নারীরা অস্পৃশ্য তকমা নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকে , যাদের সন্তানরা শিক্ষার আঙ্গিনা থেকে বঞ্চিত । বাবু সমাজ যাদের দিনের আলোয় অস্পৃশ্য বলে ঘৃণা করে আর রাতে অন্ধকারের অদৃশ্য আলোতে নিজেদের শরীরবৃত্তি চাহিদার মেটানোর মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করে ।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্পর্শ পৌঁছে গেছিল. নদীয়া জেলার শান্তিপুরের নিষিদ্ধ পল্লীতে যাকে রেড লাইট এলাকা হিসাবে চেনেন । সংস্থার পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয় শিশুদের জন্য -দুধ , বিস্কুট, মুড়ি কর্মরত মহিলাদের জন্য চাল,আলু, সোয়াবিন ,স্যানিটারি #ন্যাপকিন ।
এছাড়াও শান্তিপুরে প্রান্তিক এলাকা মুন্সিরপুল এর কয়েকটি অসহায় পরিবারের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রাণ সামগ্রী । স্পর্শের এই গানগুলি পেয়ে খুশি ওরা । ওদের প্রিয় মোহর দিদির মাধ্যমে স্পর্শ সংগঠন কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওরা ।
সংস্থার পক্ষ থেকে মোহর দে বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় যিনি স্পর্শর পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী গুলি ওই এলাকায় সঠিক ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন । সংগঠনের অন্যতম মলয় দাস বলেন “সকলে ভালো থাকুন .সুস্থ থাকুন,বাড়িতে থাকুন অামরা আছি সাধারণ মানুষের জন্য সব সময়ে ।”
