মলয় দে, নদীয়া:- প্রধান ব্রাঞ্চ নয়, সামান্য স্টেট ব্যাংকের সিএসপি শাখা, কিন্তু মানবিকতা নজর কেড়েছে এই ব্যাংক। জনধন যোজনা, বার্ধক্য প্রতিবন্ধী ভাতা, বিদেশ থেকে প্রাপ্ত টাকা, নিজের জমাকৃত টাকা তোলা জমা যাই হোক না কেনো ভিড়ের দিক থেকে কোন ব্যাংকই পিছিয়ে নেই! কিন্তু ভিড়ের মাঝে মেজাজ হারাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা, ছোটখাটো বচসা লেগেই থাকছে, কখনো তা চরমে পৌঁছে কিছুক্ষণের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকছে এরকম দৃষ্টান্তও মেলে। কিন্তু নদীয়া জেলার হরিপুর অঞ্চলের বিশ্বশুক পল্লীর স্টেট ব্যাংকের এই শাখাটি লাইনে দাঁড়ানো থেকে টাকা তোলা পর্যন্ত পুরোটাই মানবিকতায় ভরা।
নির্দিষ্ট দূরত্ব বজয় রাখা লক্ষণ রেখায় সারিবদ্ধ গ্রাহক। তেষ্টায় গলা ফাটলে সাথে সাথে বাতাসা এবং জল হাতের কাছে ব্যাঙ্ক কর্মী, যদি বয়স্ক, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী বা গর্ভবতী মহিলা আসেন তাদের পরিষেবা হাতের কাজ ফেলেই। কিছুটা দূরেই মাইকে করনা সতর্ক বার্তার সাথে , লাইনে দাঁড়ানো একঘেয়ামী কাটানোর জন্য দেশাত্মবোধক মৃদুমন্দ গান ভেসে আসছে উপভোক্তাদের কানে। দীর্ঘলাইন অতিক্রান্ত করে আরামবারান্দা। যেখানে শুধুমাত্র গ্রাহকদের জন্য লাগানো হয়েছে সিলিং ফ্যান, বসার চেয়ার। এরপর হাত স্যানিটাইজ করে একজন করে গ্রাহক টাকা তুলে, অন্য কাউন্টারে বিস্তারিত জেনে তবেই ফিরছেন। এখানেই শেষ নয়! রাস্তার দু দিকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য পথের পাশেই রয়েছে টোটো। এতসব কান্ড , ব্যাংক কর্মচারী মাত্র দুইজন। ব্যাংকের পক্ষ থেকে খরচের দায়িত্ব নিলেও এলাকার সাধারণ সচেতন নাগরিক এগিয়ে এসেছে অনেকটাই।