শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে আবারো জঞ্জালমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি কূড়াদান বালতি প্রদান

Social

মলয় দে নদীয়া:- বিগত বেশ কয়েক বছর আগে তৎকালীন শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপিতা প্রয়াত অজয় দে শুরু করেছিলেন শহরের প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে জঞ্জাল এবং বর্জ‍্য সংগ্রহ। প্রতিটি ওয়ার্ডে সামান্য সাম্মানিক এর ভিত্তিতে পৌরসভা কর্তৃক দায়িত্ব দেওয়া সাফাই কর্মীদের অনিয়মিত সংগ্রহর জন্যই মুখ থুবড়ে পড়েছিলো এই উদ্যোগ এমনটাই মনে করেন শহরবাসী একাংশ। অন্যদিকে সাফাই কর্মীরা কেউ কেউ জানান, সারা মাস কাজ করার পর পৌরসভা করতে সামান্য অর্থ পেলেও, প্রতিবাড়ি থেকে কুড়ি টাকা অনেকেই দিতেন না তাই বন্ধ হয়েছে।

তবে শান্তিপুর পৌরসভার নতুন প্রশাসক মন্ডলী এবার আরো একবার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন শান্তিপুর শহর পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে। আজ শান্তিপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং কুলি নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পুরান বালতি প্রদান করা হয়। আর সেখানেই, পৌর প্রশাসক সুব্রত ঘোষ জানান স্টেট আরবান ডিপার্টমেন্ট এজেন্সি পৌরসভা কে সহযোগিতা করছে এ বিষয়ে। আপাতত ছটি অত্যাধুনিক ময়লা পরিষ্কারের গাড়ি এসেছে শান্তিপুর পৌরসভায়। মডেল ওয়ার্ড হিসেবে আপাতত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে চালু করা হচ্ছে।

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকে হোল্ডিংয়ের জন্য দুটি করে বিনামূল্যে বালতি দেওয়া থাকবে, আর তাতেই পচনশীল এবং অপচনশীল দু’ধরনের জঞ্জাল এবং বর্জ‍্য পৃথক করে রাখতে হবে। অত্যাধুনিক জঞ্জাল সাফাই সংগ্রহ গাড়িগুলো সেই ভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। হরিপুর ময়লার মাঠে স্তূপাকারে পরিত্যক্ত জঞ্জাল থেকে আগামী দিন কম্পোজ সার উৎপাদনের একটি প্রকল্প চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, পরিত্যক্ত এসকল বিষয় থেকে অন্য কিছু প্রস্তুত করা যায় কিনা সে বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা চলছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে।
স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং বর্তমান পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যা বাসনা মঠ বলেন, ওয়ার্ড পরিষ্কার রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আপাতত পাঁচজন কে মাসের শেষে সামান্য সান্মানিক দেওয়ার সাথেই মাত্র কুড়ি টাকা প্রতিটি পরিবারের থেকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। তবে আগামীতে রাস্তায় আবর্জনা ফেললে, পৌরসভা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এ ব্যবস্থায় খুশি হলেও, ধারাবাহিকতার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে বলেন পৌরসভাকে।

Leave a Reply