কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তার মাঝেও সারমেয়দের খাবার দিতে রাস্তায় বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা

Social

মলয় দে নদীয়া:- ভোর ছটা থেকে থেকেই মায়ের চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গা, সংসারে কুটো ভেঙে দুটো না করা ছেলেদের কাজকর্ম দেখে মায়েরা প্রথম প্রথম রাগ করলেও, এখন কিন্তু গর্ববোধ করেন রীতিমতো। লকডাউনে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকার ফলে নিজেদের জীবনকে অন্যরকম ভাবে দেখতে শিখেছেন সুত্রাগড় অঞ্চলে ছোট থেকে একসাথে বড় হয়ে ওঠা কিছু প্রাইভেট কোম্পানির চাকুরে বন্ধুর দল।

আগে এক গ্লাস জল ভরে না খেতে পারা ছেলেরা বন্ধুদের নিয়ে সকালেই বাজার করা, কুটনো কোটা, বাটনা বাটা, রান্না করা সবটাই করছেন। ভাবছেন সংসারের জন্য ? একদম ভুল! পথে-প্রান্তরে, রাস্তাঘাটে পাড়ার মোড়ে ফুটপাতে ঘুরে বেড়ানো সারমেয়দের জন্য।

এর আগেও সপ্তাহে ছদিন দশটা পাঁচটা অফিসের ডিউটির পর ক্লান্ত শরীরে , বিষন্ন মনের কোনায় উঁকি দিত কিছু একটা করার। কিন্তু একটাই রবিবার কোথা থেকে চলে যেত কে জানে!
কিন্তু গৃহবন্দি অবস্থায় শান্তিপুর শহরে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা শান্তনু ,সৌরভ, জগজিৎ, দীপক, ঋতুজা , রৌণক ,অরূপ, সুজয় রা খুঁজে পেয়েছেন জীবনের প্রকৃত মানে, বাঁচার রসদ। মায়েদের ভয়ে
প্রথম প্রথম রান্নার সরঞ্জাম জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে, দীপক ও ঋতুজার নতুন সংসারের রান্নার সরঞ্জাম এনেই শুরুটা হয়েছিল। এখন অবশ্য প্রত্যেক মায়েরাই এগিয়ে এসেছে হাত পুড়িয়ে ছেলেদের রান্নার সহযোগিতা করতে।
ছেলেদের জন্য গর্বিত তারা, সংসারে আর্থিক উপার্জনের যাঁতাকলে পড়ে বিষাদ ময় জীবন ভুলে স্বতঃস্ফূর্ততা , মানবিকতা দেখে খুশি মায়েরা।

Leave a Reply