দেবু সিংহ, মালদা : চায়ের দোকানে জমায়েত সরাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিজোট এলাকায় মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকায় লকডাউনের পরোয়া না করেই চায়ের দোকানে নিয়মিত জমায়েত চলছে বলে বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দেন। তারপরেই সেখানে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুঁড়তে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। গুরুতর জখম না হলেও ইটের আঘাতে অল্পবিস্তর আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে পুলিশকর্মীরা সরে যান। পরে আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, বিজোটে যারা পুলিশকে হেনস্থা করেছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তারপরেও নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেও হরিশ্চন্দ্রপুরে একাধিক এলাকায় সকাল-সন্ধে চায়ের ঠেকগুলি রমরম করে চলছে। নিয়ম না মেনে দোকানে আড্ডা, জমায়েত সবই চলছে। স্থানীয়দের অনেকে তার প্রতিবাদ করলেও ফল হচ্ছে না। ফলে স্থানীয়রাই তা পুলিশকে জানাচ্ছেন। দিনকয়েক আগে রতুয়ার ভাদো এলাকাতেও চায়ের ঠেকে জমায়েত সরাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। এক অফিসারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আহত হন চার সিভিক ভলান্টিয়ারও। তারপর এদিনও বিজোটে চায়ের দোকানে জামায়েতের খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। কিন্তু তাদের সরানোর চেষ্টা করতেই পুলিশকে ঘিরে মারমুখী হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশকে লক্ষ করে ইট, ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে তারা। পুলিশকর্মী কম থাকায় বেগতিক দেখে তারা ফিরে যান। পরে সেখানে আইসির নেতৃত্বে হাজির হয় পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।