রেশন মিলছে মানুষের, পোষ্যদের খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে গৃহকর্তা

Social

মলয় দে নদীয়া:- একদিকে নিজেদের কথা ভেবেও সুশীল সমাজ গৃহবন্দিতে অবাধ্য, প্রশাসনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও সকালে বাজারগুলিতে হামলে পড়া ভীড়। অন্যদিকে নদীয়া শান্তিপুর স্টেডিয়াম পাড়ার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের লকডাউন চলছে- ঘরে ঢুকে পড়ো সবাই বললেই টিয়া পাখিরা খাঁচায়, পায়রারা খোপে, কুকুর তার নিজ আস্তানায় প্রত্যেকে নিজে নিজে ঢুকে পড়ছে।

চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের দুই পুত্রের মধ্যে এক পুত্র হায়দ্রাবাদে কর্মসূত্রে আটকে পড়েছে লকডাউনে। স্ত্রী ও এক পুত্র নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। মিস্ত্রির জোগাড়ে হিসেবে কাজ করা চিত্তবাবুর কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। রেশনে কাগজপত্র সম্পর্ক সমস্যা থাকায় মিলছেনা রেশন।

তার উপর বাড়িতে পোষ্যর সংখ্যা প্রায় ৭০। গম, ছোলা, লাল লঙ্কা ,পেয়ারা এই দুর্মূল্যের বাজারেও নিয়মিত জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন চিত্তবাবু। যেখানে ধনী আত্মীয়, ভোট দেওয়া জনপ্রতিনিধি খোঁজ নিচ্ছেন না, চিত্র বাবু কিন্তু মোটা অংকের দাম পেলেও এত অভাবের মধ্যেও বিক্রি করছেন না তাদের। তার কথা অনুযায়ী , কাজ থেকে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফেরার সময় তারাই ঘাড়ে পিঠে উঠে আদর করে যোগায় পরের দিনের কাজের অনুপ্রেরণা! কিভাবে বেচবো তাদের?

Leave a Reply