মলয় দে নদীয়া:- লকডাউন এরপর কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে জনজীবন। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় কিছু বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে এই আওতা থেকে।
সমালোচকদের বক্তব্য অনুযায়ী , এ সময় মিষ্টি মুখের কোনো প্রয়োজন ছিল কি? উত্তরে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা জানান, ব্যবসা সারাবছর চলে, এ কটা দিন বন্ধ থাকলে কিছুই শোরুমের ক্ষতি হত না। তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই, রাজি হয়েছি দোকান খুলতে।
মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা জানান, বাড়ির পুজোর মিষ্টি, শিশু রোগীদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত ছানা, পরলোকে ক্রিয়া কর্মাদিতে ব্যবহৃত ছানা ঘি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যিক খাদ্য দ্রব্যের মধ্যেই পড়ে। তা বাদেও শুধুমাত্র মিষ্টির দোকান বন্ধ হওয়ার কারণে ফেলা যাচ্ছে লিটার লিটার দুধ! তাই সমস্ত দিক বিচার করেই মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত।
ছানা সরবরাহ না থাকায়, পরশু রাতে ঘোষণা হলেও, অধিকাংশ দোকানে ছানা আসতে দেরি হয়। তবে প্রতিটা দোকানে নিয়ম মেনে বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত খোলা থাকছে। ভিড় এড়াতে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিভিন্ন মিষ্টির দোকানের মালিকেরা।