মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার মদনপুর থেকে দুই পায়ে হেঁটে বৃন্দা বনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দোলের পরের দিন তারা রওনা দিয়ে আজ এসে পৌঁছেছেন শান্তিপুরে।শান্তিপুরের বিভিন্ন মঠমন্দির দর্শন করে তারা এবার যাবেন মায়াপুর। সেখান থেকে তারা পৌঁছাবেন তারাপীঠ। এরপর তারা অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করে সেখান থেকে হেঁটে বৃন্দাবন যাবেন। ১৩৮০ কিমি পথ তারা হেঁটে পৌঁছাবেন বৃন্দাবন। তাদের ধারণা,এই দীর্ঘ পথ পেরোতে তিন মাস বা তার কিছু বেশি সময় লেগে যেতে পারে। দুই বন্ধুর নাম কৈলাস সরকার ও বিশ্বজিৎ দাস। তাদের বাড়ি চাকদহ ব্লকের মদনপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার। প্রতিবেশী হওয়ার সূত্রে ছোটবেলা থেকেই তাদের গভীর বন্ধুত্ব। এর আগে তারা হেঁটে তারকেশ্বর গিয়েছিলেন। দুজনের ভগবানের প্রতি রয়েছে ভীষণ টান। তাই প্রায় ২৫ বছর বয়সী দুই বন্ধু ইতিমধ্যেই দীক্ষা নিয়েছেন। বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন,’দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল,ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান যাব এবং সেখানে তাকে দর্শন করব এবং রাম মন্দির দর্শন করব। শ্রীকৃষ্ণের লীলা ক্ষেত্র বৃন্দাবন দর্শন করার ইচ্ছা আমাদের ছিল। সেই ইচ্ছা নিয়েই বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য আমরা বৃন্দাবন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘বিশ্বজিতের বন্ধু কৈলাস সরকার জানিয়েছেন,’ঈশ্বর আমাদের যে দেহ দান করেছেন,তা কাজে লাগাতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি। এর আগে কোথাও এত দূর হেরে যায়নি। আমরা এর আগে তারকেশ্বর গিয়েছিলাম। বৃন্দাবনে পৌঁছে সেখানে বিভিন্ন মন্দির দর্শন করে ভগবানকে দর্শন করে আমরা ট্রেনে করে ফিরে আসবো।’
তারা ৬০০০ টাকা হাতে নিয়ে ৯০ দিনের পৌঁছানোর সময়সীমা আন্দাজ করে আজ দ্বিতীয় দিনে পৌঁছেছিলেন শান্তিপুরে। সেখানে বিভিন্ন বিগ্রহ বাড়ি ঘুরে, রওনা দিয়েছেন মায়াপুরের উদ্দেশ্যে। তবে পথেই ঔষধের দোকানদার থেকে শুরু করে হোটেল মালিক, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে চলেছে। প্রাথমিকভাবে পায়ে চটি পড়ে হাঁটলেও তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কে উঠে জুতো পড়ে নেবেন। রাত্রে শোবার জন্য মশারি, এবং ন্যূনতম প্রয়োজনীয় কয়েকটা জিনিস ছাড়া সেভাবে কিছুই নেননি তারা। তারা বলেন ঈশ্বরের দেওয়া শরীর, ঈশ্বর দর্শনে অন্য গাড়িতে নয় পায়ে হেটেই যাওয়ার ইচ্ছা বহুদিনের।