মলয় দে নদীয়া:-চাকদহ পূর্বাচল বয়েজ স্কুলের পাশে কেবিএম মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ২০০৮ সাল থেকে শান্তিপুর অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রে FEOD ফায়ার ইঞ্জিন ড্রাইভার কাম অপারেটর স্টাফ হিসেবে। ডিপার্টমেন্টে উপযুক্ত স্টাফ কম থাকায় দুটি পথ একসাথে সামলাতে হয় তাকে। এর আগে বাসে ট্রেনে যাতায়াত করতেন তিনি। মোটর সাইকেল বাইসাইকেল এর কোন যানবাহনের প্রয়োজন না থাকায় ব্যবস্থা ছিল না তার। তবে সাইকেল চালানোর ছেলেবেলার পুরনো অভ্যাসটা ছিলো পঞ্চাশোর্ধ সুনন্দন কর্মকারের।
লকডাউন এর দিন কর্তব্যরত অবস্থায় আটকে পড়েন শান্তিপুর অগ্নি নির্বাপন নিজস্ব অফিসে। এরপরে বাড়িতে যাওয়ার পথ হিসেবে বেছে নেন অফিসের পাশে থাকা এক বন্ধুর সাইকেল। প্রথম দিন খুবই কষ্ট হলেও এখনতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
এই অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রে ১৯ জন স্টাফ থাকলেও স্থানীয় মোজাম্মেল মন্ডল, টোটন সরকার, অমিত দাস বাদে সকলেই জেলার বাইরে থেকে আসতেন। বীরভূমের তারাপীঠ থেকে প্রদীপ দাস বাড়ি ফেরার কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অফিসেই নিজে হাতে রান্না ব্যবস্থা করেই, কর্তব্যে অনড় ২৪ ঘন্টা।
সুনন্দন কর্মকার জানান “এমন একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত, যেখানে আবেগের কোন দাম নেই, কর্তব্য বড় কথা।”
সাব অফিসার ইনচার্জ শ্যামসুন্দর পন্ডিতের কথা অনুযায়ী শুধু সুন্দনই নয় প্রত্যেক স্টাফই বাড়ি ঘর সংসার ছেড়ে ,বুকে চাপা ব্যথা নিয়ে সমাজের কাজে ব্রতী । আমি গর্বিত আমার এই কেন্দ্রের স্টাফেদের জন্য।