প্যাকেটের দুধের পরিষেবা বজায় থাকলেও, স্থানীয় উৎপাদিত দুধ ফেলা যাচ্ছে গঙ্গায়

Social

মলয় দা নদীয়া:- শিশু বয়স্ক রোগীদের পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত ,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানীয় দুগ্ধ। গবাদি পশুর মধ্যে মূলত দুগ্ধবতী গাভী থেকে সারা বছর আমরা যোগান পাই এই গুরুত্বপূর্ণ পানীয়র।

নদীয়া জেলার ফুলিয়া প্রধান গুরুত্বপূর্ণ জীবিকা এই গবাদিপশু প্রতিপালন এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা। যেখান থেকে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায় দুধ ছানা, যা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা প্রকারের মিষ্টান্ন বিক্রি হয়। সেই দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা গরু প্রতিপালক রা  চরম সংকটে, সমস্ত যানবাহন বন্ধ হওয়ায় দুধ কলকাতায় পাঠাতে পারছে না আশুতোষ ঘোষ, সুরেশ নস্কর, বিশ্বনাথ ঘোষ নরোত্তম ঘোষের এর মত প্রায় 700 ব্যবসায়ী। যাদের প্রত্যহ প্রায় এক দেড়শ গাভী থেকে প্রতিদিন 1000 লিটার দুধ কলকাতায় পাঠাতেন নিয়মিত। বর্তমানে তাদের কর্মচারীরা করোনা আতঙ্কে দোয়াতে যাচ্ছেনা গাভী ফলে পালান ভর্তি দুধের চাপে অসুস্থ হচ্ছে গাভী , তৎসহ একমাত্র পশু চিকিৎসালয় বন্ধ হয়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন যাবৎ অন্যদিকে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত বিচুলি বর্ধমান থেকে নৌকা পারাপার হয়ে ঢুকতে পারছিলোনা শান্তিপুরে।

গতকাল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য ফুলিয়া কিষাণ মিলে দুগ্ধ নেওয়ার ব্যবস্থা , বিচুলি পারাপারের ব্যবস্থা করেন ।ফলে কিছুটা হলেও সুরাহা মিলেছে এই অবস্থার। গতকাল পর্যন্ত সর্বস্বান্ত এই ব্যবসায়ীরা গঙ্গার জলে খেলেছেন লিটার লিটার দুধ, গরু প্রতিপালকের চাপে বাড়িতে থাকতে পারছিলেন না অনেকেই। শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখে নিষ্পত্তি করেছেন অনেকটাই।

Leave a Reply