রেলের আন্ডারপাস নিয়ে সমস্যায় এলাকাবাসী। জমছে ক্ষোভ

Social

দেবু সিংহ , মালদা: অর্ধনির্মিত হয়ে পড়ে আছে রেলের আন্ডারপাস। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাইপাস দিয়ে চলাচলের রাস্তা। তৈরি হয়নি লিংক রোড। এর জেরে সমস্যায় সংলগ্ন এলাকার গ্রামের মানুষরা। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রেল দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ জমছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুর ও কুমেদপুর রেল স্টেশনের মাঝে রেলের একটি আন্ডারপাস কে ঘিরে। বছর খানেক হয়ে গেল নির্মাণ করা।কিন্তু মূল রাস্তার সঙ্গে এখনও তৈরি হয়নি লিংক রোড। আন্ডারপাসে নিচে রাস্তাটি ও কাচা কাছে রয়ে গেছে।

এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানালেন বছর খানেক ধরে অর্ধনির্মিত হয়ে পড়ে আছে আন্ডার পাসটি। কোন লিংক রোড নেই আন্ডারপাসে নিচে রাস্তাটিও কাঁচা বর্ষাকালে জল জমে আরো কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ওখান দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। অনেক আন্দোলন করে আমরা আন্ডারপাস টি আদায় করতে পেরেছিলাম এলাকাবাসীর সুবিধার্থে। কিন্তু বক্স পুশিং হয়ে যাওয়ার পরেও আন্ডারপাসের রাস্তা নির্মাণ হয়নি। হয়নি লিংক রোড। তাই বর্ষার সময় জল জমছে। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে তখন চাঁদা তুলে ওই আন্ডার পাস চলাচলের যোগ্য করছি।এ নিয়ে আমরা কন্টাকটার থেকে শুরু করে রেলের বহু আধিকারিকের কাছে আবেদন নিবেদন করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এর ফলে রাঘবপুর ধনি পাড়া সাদলি চক মালিয়ার প্রভৃতি এলাকার মানুষদের যাতায়াতের নিয়ে চরম অসুবিধায় পড়ছে।
এলাকার আরেক বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম জানান এই আন্ডারপাস দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুল বারদুয়ারী হাই স্কুল সহ পাঁচটি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাওয়া-আসা করে। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় এই আন্ডারপাস বেহাল হয়ে থাকে। ফলে সেই সময় যাওয়া আসা করা যায় না। আমরা চাই অবিলম্বে রাস্তাটি পাকা হোক সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কম হোক।

এলাকার এক ব্যবসায়ী হাসিম রাজা জানালেন ব্যাবসা চাকুরী ও হাসপাতাল যাওয়ার কাজেও এলাকার বাসিন্দারা এই আন্ডার পাস টি ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু রাস্তাটি কাঁচা এখনো রয়ে গেছে। বৃষ্টিতে জল জমে বেহাল হয়ে পড়ছে রাস্তা। বাধ্য হয়ে 8 থেকে 10 কিলোমিটার ঘুরে হরিশ্চন্দ্রপুর যেতে হচ্ছে এখানকার সাধারণ মানুষকে। আমরা চাই অবিলম্বে রেল দপ্তর এ আন্ডারপাস সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ করুক যাতে এলাকাবাসীর সমস্যা কমে যায়।

এ প্রসঙ্গে রেল দপ্তর এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

Leave a Reply