মলয় দে নদীয়া :-অন্যান্য প্রাণীদের থেকে মানুষের পার্থক্য এটাই,খাদ্যপূরনের পরেও মানসিক কিছু চাহিদা মেটানোর জন্য জানার আগ্রহ জন্ম নেয়। যার মধ্যে বই অন্যতম। তবে কালের বিবর্তনে, বইয়ের বিকল্প হিসেবে প্রথমে ইলেকট্রনিক্স পরবর্তীতে ডিজিটালের উপর নির্ভর করতে শুরু করেছে মানুষ। যার ফলে গ্রন্থাগারের ব্যবহার কমছে ক্রমশ।
ইউনেস্কোর মতে ১২ ই আগস্ট শিয়ালী রামামৃতা রঙ্গ নাথনের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থাকার দিবস পালিত হয়।
এ বাংলায় প্রথম গ্রন্থাগার দিবস পালিত হতো ২০ শে ডিসেম্বর। ১৯২৫ সালের ২০ শে ডিসেম্বর কলকাতার অ্যালবার্ট হলে বর্তমান কফি হাউসে বঙ্গীয় গ্রন্থাকার পরিষদের নির্বাচিত সভাপতি হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর বেশ কয়েক বছর বাদে এই দিনটিতেই গ্রন্থাকার দিবস হিসাবে পালনের রীতি হয়ে দাঁড়ায়।
তবে বর্তমান রাজ্য সরকার ৩১ শে আগস্ট জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। সেই মতো বিভিন্ন বিদ্যালয় ও পালিত হয়ে থাকে গ্রন্থাগার দিবস।
সরকারিভাবে মহকুমা জেলা শহর গ্রামীণ মিলিয়ে ২৪৮০ টি গ্রন্থাগার রাজ্যে থাকলেও নদীয়ায় সেই সংখ্যাটি মাত্র ১১০ টি। যার মধ্যে গত ১০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে কুড়িটি। নিয়ম অনুযায়ী জেলা গ্রন্থাগারে ১০ জন মহকুমা গ্রন্থাগারের দুজন কর্মী থাকা বাঞ্ছনীয়। অর্থাৎ জেলার আঙ্গিকে ২৩৪ জন প্রয়োজন সেক্ষেত্রে মাত্র ৬০ জন কর্মচারী দিয়েই দীর্ঘদিন যাবত গ্রন্থাগারে পাঠক বৃদ্ধির অপচেষ্টা চলছে এমনটাই মনে করেন সচেতন পাঠকরা। শুধু কর্মচারীরা নন আধিকারিকদেরও একই পরিস্থিতি, মুর্শিদাবাদ নিবাসী আধিকারিক সামলান নদিয়া ডিসটিক লাইব্রেরীর বিভাগ।
তবে এরই মধ্যে অত্যন্ত সুখবর বহু প্রাচীন শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী, টাউন লাইব্রেরীতে রূপান্তরিত হতে চলেছে অতি শীঘ্রই। শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির পক্ষ থেকে সম্পাদক পলশন ঘোষ জানান, আগামীকাল এই উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে, এই প্রথম শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এই দুই মহামানবের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হবে।
আজ জাতীয় গ্রন্থাকার দিবস উপলক্ষে, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক এর উদ্যোগে নদীয়ার কৃষ্ণনগর শিক্ষাভবনে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। যেখানে সেরা পাঠক হিসেবে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির অসিত দাস, নদীয়া জেলা গ্রন্থাগারের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় বাগ, কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির দেবযানী ঘোষালকে সেরা পাঠক হিসেবে সংবর্ধিত করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: সুবর্ণ কুমার দাস আলোচনা করেন পাঠক পুনরোদ্ধারের নানান পন্থা।