নিউজ সোশ্যাল বার্তা: শাহিদা খাতুন বয়স ২৬ নদীয়া জেলার বার্নিয়ার বাসিন্দা । গত ১২ই মার্চ দেহে রক্তাল্পতা দেখা দেওয়ায় ভর্তি হতে হয় কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় তার রক্তের গ্রুপ ও(-) নেগেটিভ । ওই গ্রুপের রক্ত ব্লাড ব্যাংকে না থাকায় শুরু হয় ডোনার খোঁজা । অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করেন ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপের সদস্য সুজন অধিকারী সঙ্গে । তারপর এমার্জেন্সি ব্লাড গ্রুপের মাধ্যমে ডোনার খোঁজা শুরু হয় । সৌভিক নামে এক যুবকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বেতাই জিৎপুরের কলেজ পড়ুয়া বি টেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সাধন বিশ্বাসের সাথে। পুরো বিষয়টি শোনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে রক্ত দিতে রাজি হয়ে যায় সাধন।
কলেজ পড়ুয়া সাধন বিশ্বাসকে নিয়ে সুজন ও সৌভিক গতকাল শক্তিনগর ব্লাড ব্যাংকে চলে আসে। সাধন তার রক্ত দান করলো শাহিদা কে । শাহিদার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল।
এই প্রসঙ্গে সাধন বিশ্বাস বললেন,”এটা তেমন কিছু নয়। ২০১৬ সালে কলেজে পড়ার সময় প্রথম রক্ত দেই এবং জানতে পারি আমার ও (-) নেগেটিভ রক্ত । তাই যখন জানতে পারলাম না করিনি। রোগীর পরিবারে ওই হাসিটাই আমার বড় পাওনা”।
এটাই আমাদের সত্যিকারের ভারতবর্ষ । হিন্দু-মুসলিম ভাতৃত্বের বন্ধনে যারা বাধা সৃষ্টি করে সেই সুশীল সমাজ কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সাধনের আত্মত্যাগ ।