মলয় দে নদীয়া :- তাশা ব্যঞ্জন সহযোগে রাস্তা দিয়ে, রীতিমতন নাচতে নাচতে যাওয়া একটি দল দেখে প্রাথমিকভাবে ভাবে সকলের ধারনা হয়েছিল কোন আনন্দ উৎসব। কিন্তু খানিকবাদেই ভাঙলো ভ্রম! একি মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলেছে শ্মশান যাত্রী। তবে বাদ্যযন্ত্রসহ নৃত্যরত কেন শ্মশান যাত্রী?
পারিবারিক সূত্রে জানা গেল, শান্তিপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগানি পাড়া অঞ্চলের এই বৃদ্ধার মৃত্যুকালীন বয়স ১২২বছর। তিন ছেলে, ছয়মেয়ের ঘরে নাতিনাতনীর সংখ্যা প্রায় ৩০জন। নাতি-নাতনিদের কাছের বৃদ্ধা জানিয়েছিলেন, দুঃখ নয় আনন্দ চাই মৃত্যুর সময়। তাই একদিকে খোল কীর্তন নিয়ে সাবেকিনৃত্য, অন্যদিকে আধুনিক বাজনা সহ নৃত্য।
শববাহি গাড়ি নয়, রীতিমতো কাঁধে করে, পায়ে হেঁটে পৌঁছালেন শ্মশানে। সেখানেও ঠাকুরমার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দাহ করা হলো ইলেকট্রিক চুল্লিতে নয়,কাঠে।
গামছা দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে, তিন ছেলে রামজীবন হরিমোহন এবং দীপু বাবু জানান, প্রথমে আমরাও মেনে নিতে পারিনি এভাবে শ্মশান যাত্রা, কিন্তু পরবর্তীতে বুঝলাম রোগে কষ্ট না পেয়েই এভাবে পরলোকগমন সত্যি আনন্দের।
মৃত বৃদ্ধা জটিল বিশ্বাসের ভোটের কার্ড আধার কার্ড না থাকায় রেশন কার্ডের বয়স অনুযায়ী ১২২ বছর থেকে বেশ খানিকটা কম হচ্ছে! এ প্রসঙ্গে তার সন্তানরা জানান, সেই আমলে বয়স সম্পর্কে সতেচন ছিলেন না অনেকেই। পরিবারের সকল সদস্যই জানেন তার বয়স ১২২ বছরই।