দেবু সিংহ,মালদা: অল্প বৃষ্টিতেই হরিশ্চন্দ্রপুর এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জমছে জল এর ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ অল্প বৃষ্টি হলেই হরিশ্চন্দ্রপুর এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা শহীদ মোড় থেকে হাসপাতাল গামি সড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে ওমরে জল জমে যাচ্ছে। এই জল বৃষ্টি কমে গেলেও বহুদিন ধরে জমে থাকছে। কখনোই জল থেকে পচে দুর্গন্ধ বের। প্রাণ হাতে করে এই সমস্ত জায়গা পার হচ্ছেন পথচারী থেকে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা। প্রশাসনকে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ রোগীরা।
এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জানান হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমা হয়ে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল হয়ে পড়েছে। যে সমস্ত জায়গায় জল জমা হয়ে থাকে সেগুলি থেকে জল নিকাশি নালা আসতে পারে না। অন্যদিকে নিকাশি নালা গুলিও জলে পরিপূর্ণ। এই দুই সমস্যার কারণে এলাকাবাসী দুর্ভোগ বাড়ছে। নোংরা জল ডিঙিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করতে হচ্ছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নজরদারি চালানো উচিত।
এলাকার বাসিন্দা নির্মল কেডিয়া জানালেন শহীদ মোড় থেকে হাসপাতাল গামী রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার উপর বেশ কয়েকটি স্কুল সরকারি অফিস রয়েছে।রাস্তার উপর দিয়ে কয়েকশো ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ অসুস্থ রোগী যাওয়া-আসা করে। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলোর বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকছে। বৃষ্টি কমে গেল জল সহজে নামছে না। পথচলতি মানুষরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রাস্তার মাঝখান গুলো এমনিতেই জলের চাপে বসে গেছে। এর ফলে জল নামতে সময় লাগছে। আমরা বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও এই সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। আসন্ন বর্ষা কালের আগে এ সমস্যার সমাধান না হলে দুর্ভোগ বাড়বে এলাকাবাসীর।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিসবা খাতুনের স্বামী আফজাল হোসেন জানালেন হরিশ্চন্দ্রপুর এ বেশ কয়েকটি ড্রেনের কাজ এর টেন্ডার করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর নিকাশী সমস্যা দূর করার জন্য হাইড্রেন এর প্রয়োজন। যার জন্য দেড় কোটি থেকে দু’কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এই টাকার ব্যবস্থা করা একা পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা এই নিয়ে জেলা পরিষদে আবেদন করেছি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি কে বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি তারা এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন।