প্রীতম ভট্টাচার্য: আমরা যারা প্রতিদিন কোনো না কোনো কারণে নিজেদের কে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিই। তখন ভালোবাসার স্পর্শে কোথাও যেনো মৃত্যু ঘুরে দাঁড়ায়। বলে ! বাঁচতে হবে, এখনও সময় হয়নি!
ছেলেটির অন্যায় আবদার অমান্য মেয়েটির, ফলস্বরূপ জানালা দিয়ে মুখে আ্যসিড!
ছেলেটির মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে বুকের হাড় ভেঙে খন্ড খন্ড । তখনও বেঁচে থাকাটা ক্ষীন। ডাক্তারের জবাব বাঁচালে একমাত্র ঈশ্বর ভরসা। মাল্টিঅর্গ্যান অকেজো , টানা ২৪ দিন ভেন্টিলেশন।
রাস্তা পার হতে গিয়ে মেয়েটিকে ১৬চাকার ট্রাক পিষে দেয় মারাত্মক ভাবে। বহুদিন মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞালড়া মেয়েটি একদিন পর্বত জয় করে।
কোনো গল্পকথা নয় বা সিনেমাও নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে ওদের নিজেদের জীবনের কথা- পারমিতা বেরা,পাপাই রায়,সম্রাট কর,ও স্তুতি দাসদের এই নির্মম কাহিনী শোনালো তাদের কন্ঠে নদীয়া জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্পর্শ।
গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্পর্শের ছোঁয়ায় কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রমঞ্চ এক নতুন পৃথিবীর সাক্ষী থাকলো ভালোবাসার ” স্পর্শে”।
সংগঠনের এই প্রেরণা মূলক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও কৃষ্ণনগরবাসী । এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন এর জন্য কৃষ্ণনাগরিকেরা উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।