মলয় দে নদীয়া:- নতুন বছর উপলক্ষে ক্যালেন্ডার গ্রিটিংস কার্ড ডাইরি বিক্রিতে পড়েছে ভাঁটা। এতো নয় গেলো, উৎসবের কথা । কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যারা লেখাপড়া শিখছে, তারাই একদিন হয়ে উঠবে সমাজের ভবিষ্যৎ। কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে বই খাতা শিকেয় ওঠার জোগাড়।
ছাপাখানা এবং বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ লকডাউনে মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত পেপারমিল গুলি ছিলো বন্ধ। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় যোগান কমেছে অনেকটাই। কাগজ ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা যায়, কাগজ তৈরির কাঁচামাল এর জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় অন্য দেশের উপর। দীর্ঘ লকডাউন এ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন আমদানি করা সম্ভব হয়নি অন্যদিকে দীর্ঘদিন কর্মচারীদের কাজ না দেওয়ার কারণে অন্যান্য বিভিন্ন রকম পেশার সাথে যুক্ত হয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে কার্যত মুখ থুবরে পড়েছে এদেশের কাগজ শিল্প। এদেশে কাগজ তৈরি হয় দুই ধরনের কাঁচামাল থেকে তার একটি প্রক্রিয়া রিসাইকেল পাল্প বা পুরোনো কাগজকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা তবে এর ব্যবহার খুবই সামান্য। অপরটি হলো ভার্জিন পাল্প, যার মূল যোগান আসে চীন বা আমেরিকা থেকে। যে কন্টেনার ভাড়া দেড় হাজার টাকা ছিল তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা।
বই বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গল্প-উপন্যাস ছাপা ম্যাপলিটো কাগজের দাম কেজিতে ছ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে এর ফলে পাঠকের হাতে ২০০ টাকার বই তুলে দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা।
সাধারণ লেখার খাতা বেড়েছে কেজি প্রতি চার-পাঁচ টাকা। অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী এমনকি পেন এবং প্লাস্টিক সামগ্রীর দামও বেড়েছে যথেষ্ট।
দীর্ঘদিন অভ্যাসের ফলে বেড়েছে স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, তার উপর বই-খাতার মূল্যবৃদ্ধি সরকারকে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে। কর্মহীন অভিভাবকরা সরকারি ভর্তুকি ছাড়া তাদের ছেলেমেয়েদের অনেকেই বই কিনে দিতে পারবেন না বলে অভিমত জানিয়েছেন।