ওয়েব ডেস্ক: অদম্য ইচ্ছা মানুষকে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তীর্ণ করতে পারে । এমনই এক কিশোর নাম বাপি ফকির ।সাধারণ মানুষের মতো তার শরীর নয়। জন্মের পর থেকেই বাপির দুটো পা, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল। ভরসা বলতে ছিল তার শুধুমাত্র হাতটুকু কোনও মতে নাড়াচড়া করতে পারে সে, উঠে বসতেও পারে না। এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে অদম্য ইচ্ছায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ডিহিকলস হাইস্কুল থেকে সে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ।পরীক্ষা কেন্দ্র মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশন। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা শুরু হয় । মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয় বাপি।শরীর না পারলে কি হবে? সেজে হার মানতে নারাজ! পরীক্ষা দেয় বেঞ্চে কাত হয়ে শুয়ে।পরীক্ষা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরউদ্দিন গায়েন বলেন, ‘‘ওই চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। নিয়ম মেনে ৪৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে”।
মা সেরিনা বলেন, ‘‘রোগ সারাতে বহু হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছি। লাভ হয়নি। ইদানীং আবার একপাশ ফিরে শুয়ে থেকে ঠান্ডা লেগে একটা কানে শুনতে পাচ্ছে না। চিকিৎসক বলেছেন, কানে যন্ত্র বসাতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। ওর বাবা দর্জির কাজ করেন। অত টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না”।
তবে তার সন্তানের পরীক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় তিনি খুশি। তিনি স্বহৃদয় ব্যক্তির সাহায্যও প্রার্থনা করেন ।