মলয় দে নদীয়া:-গতানুগতিক সরকারি নির্দেশ ফরমান বাদেও শুধুমাত্র আন্তরিকতার জোরে পরিচালন কমিটি, অভিভাবক , প্রাক্তন ছাত্র দের সহযোগিতায় যে কত কিছু করা যায় তার দৃষ্টান্ত নদীয়ার গাংনাপুর হাই স্কুল।ছোটবেলা থেকে শিক্ষাদানের সুবাদে দিনের বেশিরভাগ অংশই ছাত্রদের সাথে থাকা শিক্ষক শিক্ষিকা অনুভব করেন তাদের প্রতিভা। কিন্তু সরকারি কোন নির্দেশিকা না থাকলেও, আইনি কোনো বাধা ও তো নেই!
প্রতিবছরের মতো এবছরও প্রতিটি ক্লাসের সেকশন অনুযায়ী গ্রুপ বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন সতস্ফুর্ত উপস্থাপনা অবাক করে দেয় উপস্থিত থাকা অভিভাবকদের। ক্যারাটে ,ম্যাজিক, অভিনয়, যোগব্যায়াম, দেহসৌষ্ঠব, বিজ্ঞান প্রদর্শনী নাচ গান আবৃত্তি ছবি আঁকা এমনকি সঞ্চালক হিসেবেও সাবলীল তারা। জল অপচয় তামাক, বর্জন, পথ নিরাপত্তা, অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যবহার, প্লাস্টিক বর্জন, থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয়ের বিষয় উপস্থাপিত করে তার সমাধানসূত্র নিজেরাই উপস্থাপিত করেছে এই অনুষ্ঠানে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের আজ অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত থাকেন বিদেশ, কিন্তু শিক্ষকদের নিয়মিত যোগাযোগে আজও তারা বাধ্য ছাত্র, স্কলারশিপের বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতা করেন তারাই।
বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মধ্যে কেউ কেউ বাড়িয়ে দিয়েছেন স্কলারশিপের সহযোগিতা। স্কুলেরই এক প্রাক্তন ছাত্র ফুটবলের খ্যাতির শিরোনামে আজ, তারই সহযোগিতায় নিয়মিত সারা বছর ফুল ফুটবল কোচিং চলে, বিদ্যালয়ের ফরমেটিভ এক্সাম সারাবছর এ ধরনের বিভিন্ন নানা বিষয় থেকে মূল্যায়ন করা হয়।
গত বছর ইসরো পরিচালিত সারাবাংলা কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন, এবছর ডিবেটে দ্বিতীয় হয় এই স্কুল। এমনকি বিদ্যালয় থেকে মাইথন এডুকেশনাল ট্যুরে গিয়েও সেখানকার পরিবেশ প্লাস্টিক মুক্ত সহ নানা বিষয়ে কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছে ওই জেলায়।