নিউজ সোশ্যাল বার্তা:পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সহ-পাঠক্রমিক কার্যাবলিতে আদিবাসী সম্প্রদায় ও দু:স্থ ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদিবাসী গ্রামে “প্রথম সূর্যের আলো” নাম দিয়ে অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করল নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন- স্মাইল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।৫ই সেপ্টেম্বর ড:সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিনে (শিক্ষক দিবস) এই বিদ্যালয়ের উদ্বোধন হল।
বিদ্যালয়ের দ্বারোদঘাটন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ধুবুলিয়া শ্যামাপ্রসাদ শিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ খান।উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শ্রী চৈতন্য দাস সহ সংস্থার বিভিন্ন শাখা কৃষ্ণনগর,তাহেরপুর, রানাঘাট, মুড়াগাছা ও ডায়মন্ড হাবরারের সদস্যবৃন্দ।
সত্যিই অপূর্ব এই অবৈতনিক বিদ্যালয়। সংস্থার কর্ণধার লক্ষণ ব্রহ্মের দেওয়া জায়গাতেই তৈরি হয়েছে বিদ্যালয় “প্রথম সূর্যের আলো”।
মাটির বাড়ির দেওয়ালে বিভিন্ন ধরনের চিত্র অংকন রয়েছে। বিদ্যালয়ের ভিতরে দেওয়াল জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন মনীষী-ড:সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান,মাদার টেরেসা ,স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র। সংস্থার সদস্য/সদস্যরা-তিয়াসা, নন্দিনী,পৃথা,শুভঙ্কর,স্বস্তিকা সহ অন্যান্যরা (কেউ বা বিদ্যালয় আবার কেউ বা কলেজে পড়ছে) দিন-রাত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছে এই বিদ্যালয়।সংস্থার কর্ণধার লক্ষণ ব্রম্য এই প্রসঙ্গে বলেন “পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সম্প্রদায় ও দু:স্থ ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ,গান, আবৃত্তি,যোগা অঙ্কন সহ বিভিন্ন সহ-পাঠ্ক্রমিক বিষয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের এই সংস্থাটি। বিদ্যালয়ের ঘরের কোনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ছোট্ট ছেলেটি রঞ্জন মাল পাহাড়িয়া।জিজ্ঞেস করলাম কেমন লাগছে? মুচকি হেসে বলল আমিও কি পারবো এমন ছবি আঁকতে?
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আগত অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারাগাছ।