দেবু সিংহ, মালদা :-মালদা জেলার ফুলমেলাকেও হার মানায় কালিয়াচকের প্রত্যন্ত এলাকার ফুল মেলায়। জেলা ফুল মেলায় প্রায় দেড় হাজার টব অংশ নিয়ে থাকে। বৈষ্ণবনগর এলাকার এই ফুল মেলায় প্রায় ৪ হাজার টব অংশ নিয়ে থাকে। এবার এখানকার নজর কেড়েছে ১৫ কেজি ওজনের মূলো। ১ কেজি ২ কেজি নয়, একেবারে ১৫ কেজি ওজনের মূলো! বিস্ময়কর মুলোটি রয়েছে এনটিপিসি-র পুষ্প প্রদর্শনীতে। ‘বেস্ট ভেজিটেবিল অফ দ্য শো’ হয়েছে এই বিশালাকার মূলোটি। এই মূলোটির প্রতিপালক জনার্দন চক্রবর্তী।
পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। মালদার বৈষ্ণবনগর থানার প্রত্যন্ত এলাকায় লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টাউনশিপ বিবেকভবনে বসেছে পুষ্প প্রদর্শনীর আসর। ৩২তম বার্ষিক পুষ্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। উদ্বোধন করেন চিপ জেনারেল ম্যানেজার এস এস বাবজি । মঙ্গলবার রয়েছে শেষ দিন। জানা গেছে, প্রায় ৮০০০ টব অংশ নিয়েছে ফুলমেলায়। জানা গেছে, জনার্জনবাবু নিজের জমিতে ফলিয়েছেন এই অত্যাশ্চর্যের মূলোটি। হাইব্রিট প্রজাতির।
নিয়মানুসারে প্রতিযোগিরা সবজির ক্ষেত্রে নিজের জমির উৎপাদিত সবজি নিয়ে অংশ নিতে পারেন পরিচার্যাকারীরা। মেলায় অল ওভার চ্যাম্পিয়ন অম্লান পান্ডে। রানার্স ফাল্গুনী দে। পাশাপাশি ‘কিং অফ দ্য শো’ হয়েছেন অম্নানবাবু। আবার তিনি গুডেশিয়ায় হয়েছেন ‘ক্যুইন অফ দ্য শো’। একটি টবে প্রায় ২০০টি ফুল ফলিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, পিটুনিয়া, মরশুমি ফুল-সহ ৩০টি বিভাগে প্রতিযোগিতা। আবার রয়েছে ফুলের কালার প্রতিযোগিতা। এই বিভাগে প্রতিযোগীরা ৬টি টব দেবেন। তাতে ৬টি ভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ।
কিন্তু ফুল একই রঙের হওয়া বাঞ্ছনীয়। এনটিপিসি-র হর্টিকালচার বিভাগের সুপার ভাইজার তারিকুল আলম বলেন,‘আমাদের ফুল প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার টব অংশ নিয়েছে। এবার অন্যান্য ফুল, সবজি, ফলের মধ্যে ১৫ কেজি ওজনের মুলোটি নজরকাড়া।’ বৈষ্ণবনগর থানার আইসি ত্রিদিব প্রামানিক বলেন,‘আমাদের কালিয়াচকের মতো প্রত্যন্ত এলকার ঐতিহ্যবাহী মেলা ও পুষ্প প্রদর্শনী এটি। মানুষকে ভালোবাসা, একঘেয়েমি জীবন থেকে একটু ফুলের মধ্যে কাটিয়ে মনের প্রশান্তি ও ফুল চাষবাসে উদ্বুদ্ধকরন এই মেলার উদ্দেশ্য জানান এক অফিসার সুজিত রায় ।
মেলা সাধারণত ২ দিনের ছিল। কিন্তু মানুষের চাহিদা না মেটায় আবার একদিন বাড়িয়ে মঙ্গলবার বাড়ানো হয়। এই মেলার জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছে।’ কালিয়াচক-৩ ব্লকের বিডিও গৌতম দত্ত বলেন,‘আমাদের এখানকার ঐতিহ্যবাহী মেলা। এনটিপিসির উদ্যোগে হয় । এখানকার অনেক মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকেন মেলায়।’