মলয় দে নদীয়া:-গাংনাপুর থানার অন্তর্গত উজির পুকুরিয়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শাবনুর মন্ডল, পিতার নাম আনোয়ার মণ্ডল। আনোয়ার বাবুর দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে 12 বছর আগে রানাঘাট ধানতলা থানার অন্তর্গত চাঁদপুর গ্রামে,আজিবর মন্ডলের সাথে, 11 বছরের একটি সন্তানও আছে আজিবরের।
গত 08 01 2020 তারিখে জামাইবাবু আজিবর শালিকা শাবনূরকে নিয়ে যায় ধান তলায় দিদির বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দুই তিন দিন বাদে পিতা আনোয়ার মণ্ডল জানতে পারেন, ছোট মেয়ে বা জামাই কেউই পৌঁছয়নি বড় মেয়ের বাড়িতে। আত্মীয় স্বজন সকলের বাড়িতে খোঁজ নিও মেলেনা হদিশ। অবশেষে স্থানীয় আরংঘাটা থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে। আজকাল এভাবে প্রতীক্ষায় থাকে পরিবার।
গতকাল রাতে শাবনুর দিদির কাছে জামাইবাবু ফোন করে জানায়, শিমুরালি যাত্রাপুর গ্রামে একটি চাষের জমিতে মৃতদেহ পড়ে আছে শাবনুর। বাকি প্রশ্ন করার আগেই ফোন কেটে দেন তিনি। পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেই দাবি করেন দিদি। আজ সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে উক্ত স্থানে পৌঁছানোর আগেই খবর পায় মৃতদেহ চাকদা থানা থেকে হাসপাতলে পৌঁছায় ময়নাতদন্তের জন্য। জামাইবাবুর সেই থেকে মেলেনি কোন খোঁজ। অত্যন্ত তৎপরতার সাথে চাকদা থানা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।