দীপ রায়: নিজের “ও” নেগেটিভ (O negative) গ্রুপের রক্ত, ব্লাড ব্যাংকে রক্ত না থাকলেই ডাক পড়ে সুজয়ের। দুটি রক্তদান এর মাঝে নির্দিষ্ট সময় হলেই রক্তদান করেন তিনি। এছাড়াও রক্তদান শিবিরেও রক্তদান করেন।
নদীয়ার রানাঘাট মুরারীনগর কাপুরপাড়ার বসবাস কাপুর পরিবারের। বাড়ির ছোটছেলের বৌ-সন্তান সম্ভবা সময় ও আসন্ন। আনুলিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বড় ভাই প্রদীপ কাপুর – নাসরা এলাকায় খোঁজ নেয় তার ভাই বৌ এর ঋনাত্মক রক্তের কিন্তু না পেয়ে খোঁজ নেয় হবিবপুর নিবাসী বিনোদ বাবুর সঙ্গে। বিনোদ বাবু তার সূত্র ধরে যোগাযোগ করেন – কৃষ্ণনগর এর তুহিনগুপ্ত’ র সঙ্গে।
আনুলিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক জানান মাতৃত্বের জনিত কারন ব্লাড ব্যাংকে এই গ্রুপের রক্ত নেই তাই রক্তের প্রয়োজন । তুহিন গুপ্ত যোগযোগ করেন কৃষ্ণনগর ঐকতানের সদস্য- ঋণাত্মক রক্তদাতা সুজয় ঘোষের সঙ্গে। সুজয় ঘোষ রানাঘাট রথতলা মোড়ের একটি বেসরকারি স্বর্ণ ঋণদান সংস্থা’য় কর্মরত ।
সুজয় ঘোষ ফোন পাওয়া মাত্র- হ্যাঁ সূচক সম্মতি দিয়ে, নিজের অফিসিয়াল ব্যাঙ্কিং কাজ সেরে,আনুলিয়া হাসপাতালে গিয়ে- যথা সময়ে রক্তদান করে আসেন – কাপুর পরিবারের প্রসূতি পুজা কাপুরের জন্য।
আজ সেই মা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
জানা যায় সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা এই সুজয় ঘোষ।
এই প্রসঙ্গে সুজয় ঘোষ বলেন , এটা তেমন কিছু নয়, মানুষের বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।