ট্রেনে চড়েই শান্তিপুর থেকে বনগাঁ রওনা উমার, সাবেকি প্রতিমায় ঝোঁক বাড়ছে

Social

মলয় দে, নদীয়া:- সাবেকি প্রতিমা গড়ায় মৃৎশিল্পীদের শিল্প দক্ষতার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান সহ জেলার ভরসার অন্যতম নাম শান্তিপুর। তাই দুর্গাপূজো সহ বিভিন্ন প্রতিমা পুজোর আগে খোঁজ পড়ে শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীদের ।

এমনই এক শিল্পীর নাম গোরাচাঁদ পাল। দুর্গাপূজো কালীপুজো সহ বেশ কিছু সাবেকি পুজোর প্রতিমা নির্মাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও। শান্তিপুরের অত্যন্ত জাগ্রত
আর তার কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বনগাঁর সুরঞ্জন প্রামানিক দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তার তৈরি মূর্তিতেই পুজো করে আসছেন। এবারে প্রতিমা নিতে শান্তিপুরে এসেছিলেন তার পুত্র সুপ্রতিম। শান্তিপুর থেকে বনগাঁ বর্তমানে ট্রেন পথ চালু হওয়ার পর অনেকটাই অসুবিধা হয়েছে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তবে এর আগেও শান্তিপুর থেকে রানাঘাট এবং রানাঘাট থেকে বনগাঁ এভাবেই যেতেন মা দুর্গা। তবে করোনার মধ্যে ট্রেন বন্ধ অবস্থায় মা বেশ কয়েকবার গেছেন সড়ক পথে। অসাধারণ প্রতিমার রূপ দেখতে প্রতিবছরই ভিড় জমে যায় স্টেশন চত্বরে।
মৃৎশিল্পের কারখানা র পক্ষ থেকে অশোক প্রামাণিক জানান, তাদের ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য অসুরের প্রাণ ভিক্ষা। অর্থাৎ মা দুর্গার সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় নয়, মায়ের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার রূপ। ইতিমধ্যেই তাদের কারখানা থেকে দূর পথের প্রতিমা চলে গেছে তবে এখন যা আছে তা সবই স্থানীয় শান্তিপুর কিংবা আশেপাশের এলাকার।

Leave a Reply