প্রায় সাড়ে চারশো বছর ধরে চলছে উকিল বাড়ির দুর্গাপুজো, বৈষ্ণব মতে হয় মহিষাসুর মর্দিনীর আবাহন

Social

মলয় দে নদীয়া:-দেবী মূর্তি মাটির সাজে সজ্জিত, দেবী দুর্গা একাই পূজিত হন শান্তিপুর উকিল বাড়িতে । সাবেকিয়ানার ছোঁয়ায় প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর ধরে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পূজিত হয়ে আসছে নদীয়ার শান্তিপুরের উকিল বাড়ির দেবী দুর্গা।বাড়ির বংশধরদের কথায়, আজ থেকে প্রায় পাঁচ পুরুষ আগে তারাপদ প্রামানিক একজন সরকারি উকিল ছিলেন। কিন্তু তার বাবা ঠাকুর দাদার আমলের দুর্গাপুজো ধরে রেখেছিলেন তিনি। দেবী মূর্তির উচ্চতা খুব একটা বেশি নয়, রয়েছে মহিষাসুর, সিংহ ও দেবী দুর্গা, তাই এই মূর্তিই মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পূজিত হন উকিল বাড়িতে । যদিও চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী পুজোতে রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম, পুজোর চার দিন কাঁচা ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে, সেই প্রসাদ পুরোহিত কে দিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির বর্তমান বংশধর সৌরভ প্রামানিক বলেন, বলির প্রচলন রয়েছে প্রথম থেকেই। যদিও বৈষ্ণব মতে পূজিত হন দেবী, আখ এবং চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয় । ৪৫০ বছর আগে দেবী বিসর্জনের সময় নিয়ে যাওয়া হতো বেয়ারার কাঁধে করে, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এখন আর কাঁধে করে দেবী বিসর্জন হয় না। সাবেকিয়ানায় এখনো ঢাক বাজিয়ে পূজিত হয় দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। বর্তমানে যারা বাড়ির বংশধর রয়েছে তারা বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি জীবনে ব্যস্ত, কিন্তু পুজোর এই কটা দিন প্রত্যেকেই ব্রতী হন দেবী আরাধনায়। তাই পুজোর কটা দিন যে যেখানেই থাকুক ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে। যদিও দেবী আরাধনার আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি, প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষের দিকে, সুক্ষ সুক্ষ মাটির তৈরি কাজ যেন অনবদ্য রূপ দিচ্ছে দেবী প্রতিমাকে । দেবী মূর্তিকে পুরোপুরি সজ্জিত না করা হলেও এখনই দেখলে মনে হয় সূর্যের মত জ্বলজ্বল করছে দেবী মহিষাসুরমর্দিনীর ।

Leave a Reply