মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় লঙ্কা পাড়ার প্রীতম ঘোষকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য বাড়িতে ভিড় প্রতিবেশী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
কুড়ি বছর বয়সী এই বাহুবলি জাতীয় স্তরের বিভিন্ন রাজ্যের ৫৬ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সে, জয়লাভ করেছে সোনা।
প্রীতমের বাবা তাঁত শাড়ির বিক্রেতা। শান্তিপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, প্রীতম আজ থেকে ৮ বছর প্রথমে স্পোটিং ক্লাব পরবর্তী সময়ে মাদার ইন্ডিয়া ক্লাবে শরীর চর্চা করতো। তারও পরবর্তীতে তিন বছর যাবত বাড়ির কাছাকাছি একটি এক্সর্ট ফিটনেস সেন্টারে ভর্তি হয় এবং সেখানকার ট্রেনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে সে। সম্প্রতি কয়েক মাস আগে হাওড়ায় রাজ্য স্তরে সিলেকশনে মালদা থেকে সৌরভ দাস এবং নদীয়া থেকে প্রীতম সিলেকশন পায় জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করার জন্য। ৫৬ জনকে পিছনে ফেলে, ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি ফুলিয়ে দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আজ শান্তিপুরে বাড়িতে ফিরলো সে। প্রীতম জানায় , জুনিয়র বিভাগে মিস্টার ইন্ডিয়া হওয়ার পর আগামীতে মিস্টার এশিয়া হওয়াই তার লক্ষ্য। স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস ঘোষ তার বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা দেয়। তিনি বলেন, তার পাড়ার প্রীতম শুধু বাংলার নয় দেশেরও মুখ উজ্জ্বল করেছে। আগামীতে ফিটনেস অনেক তরুণ প্রজন্মের কাছে সে অনুকরণযোগ্য।
প্রীতমের মা, শুক্লা ঘোষ জানান মধ্যমগ্রামের সংলাপ নাহা ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছে, কখনো কখনো মাইনে পর্যন্ত নেয়নি উপরন্ত নিজে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করে।
বাবা তপন ঘোষ বলেন, এত বড় সাফল্য পাবে তা কখনো ভাবি নি তবে ছেলে কিছু একটা করতে চলেছে সে বিশ্বাস ছিলো।