নদীয়ায় মহাসাড়ম্বরে পালিত হলো মোহনবাগান প্রতিষ্ঠা দিবস

Social

মলয় দে নদীয়া:- আজ ২৯ শে জুলাই মোহনবাগান ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস। এবছর তেইশতম। যদিও ১৯১১ সালে প্রথম আই এস এ জয় হিসেবে এই দিনটা প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে ২০০১ সাল থেকে।

২৯ জুলাই ১৯১১, আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম ভারতীয় দল হিসাবে ইতিহাস লিখেছিল মোহনবাগান। ইংরেজদের বিরুদ্ধে খালি পায়ে এগারো জন দামাল ছেলে খালি পায়ে সবুজ ঘাসে ইংরেজদের বুটের সাথে লড়াই করে ভারতীয়দের শক্তি পরীক্ষা দেখিয়েছিলো অমর একাদশ। যদিও পরবর্তীতে দেশভাগের সাথে সাথে মাঠ ভাগও হয়েছিলো, ঘটি বাঙাল ইলিশ চিংড়ি এ দেশ ওদের ভারত বাংলাদেশ তারকাটা মাঝে রেখে আজও সেই আবেগে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান। প্রশ্ন তোলা হয় সে সময়ের অমর একাদশের অনেকেই পূর্বঙ্গের, যদিও তার জবাবে মোহনবাগানের সমর্থকরা বলে থাকেন তখন দেশ ভাগ হয়নি তাই পূর্ববঙ্গের আবেগ গায়ে মাখার কোন মানে হয় না।
তবে সকলেই এক বাক্যে মানেন সে সময় এই ফুটবলই পরবর্তীতে বিভিন্ন ইংরেজ বিরোধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি যুগিয়ে ছিলো। তাই এই দিনটি শুধু মোহনবাগানের কাছে নয় সমস্ত ক্রীড়া প্রেমী এবং ভারতের নাগরিকদের কাছে আজও শ্রদ্ধার এবং আবেগের। তাইতো আজকের দিনটি বিভিন্নভাবে পালিত হয়ে থাকে মোহনবাগানের সমর্থকদের উদ্যোগে । নদীয়ার শান্তিপুরেও মোহনবাগান সমর্থক দের গড়ে তোলা শান্তিপুর মেরিনার্স বেশ কিছু বছর ধরে স্বাধীনতা দিবস এবং অন্যান্য পালনীয় দিন পালনের সাথে আজকের প্রতিষ্ঠা দিবসও মহাসাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকলেও এ বছর তারা অর্ক বিশ্বাস এবং অভিজিৎ মন্ডল নামে দুই অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল প্লেয়ার দের জার্সি জুতো এবং অন্যান্য খেলা সামগ্রী প্রদান করা হয় আজ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় মোহনবাগানের পর পথ চলা ১৮৮৯ সাল থেকে। আজও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খেলার মাঠে সেরা মোহনবাগান। যদিও খেলার মাঠের উত্তেজনা কখনো কখনো বাইরেও অশান্তির বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা প্রসঙ্গে তারা জানান চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের সাথে তাদের সৌজন্যতা থাকে সবসময় তবে এ ধরনের ঘটনা যে দলের কর্মী সমর্থকরা করুক না কেন তা অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

Leave a Reply